গৌরনদী
চার মাসেও উদঘাটিত হয়নি গৌরনদীর আলোচিত পাপড়ি হত্যার রহস্য
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের উত্তর চাঁদশী গ্রামের নিকুঞ্জ পা-ের পান বরজ থেকে পুলিশ গৈলা ইউনিয়নের আরআরএমপি-২ প্রকল্পের নারী কর্মি পাপরি দেওরি (৩৩)র লাশ উদ্ধার করার পর চার মাস অতিবাহিত হলেও এখনো উদঘাটিত হয়নি পাপড়ি হত্যার রহস্য। এ ছাড়া পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার।
এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার উত্তর চাঁদশী গ্রামের মৃত কৃঞ্চ কান্ত রায়ের কন্যা পাপরি রায়ের বিয়ে হয় ্আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের কালুর পাড় গ্রামের সুখদেব দেওরীর সঙ্গে। তিন বছর পূর্বে স্বামী সুখদেব দেওরী মারা যান। স্বামী সুখদেব মারা যাওয়ার পরে পাপরি দেওরী তিন সন্তান নিয়ে খুবই অসহায় হয়ে পড়েন। দুই কন্যা লগ্ন দেওরী(১২), পূঁজা দেওরী (৮) স্বামীর বাড়ি গৈলা কালুরপাড় গ্রামে রেখে চাচাদের কাছে রেখে যান। নিজে (পাপরি দেওরী) শিশু পুত্র রতন (৬)কে নিয়ে বাবার বাড়ি গৌরনদীর উত্তর চাঁদশী বসবাস করেন।
নিহত পাপরির মেঝ ভাই সুমন রায় জানান, তার বোন পাপরি গৈলা ইউনিয়নের আরআরএমপি প্রকল্পের অধীনে রাস্তা সংস্কারের কাজ করতেন। প্রতিদিন সকালে কাজে যেতেন এবং সন্ধ্যার আগে কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসতেন। ২ অক্টোবর পাপড়ি দুধের কলস নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও ফিরে না আসায় আমরা খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধ্যান পাই নাই। ৩ অক্টোবর দুপুরে উত্তর চাঁদশী গ্রামের নিকুঞ্চ পা-ের পান বরজ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহতপাপড়ির মা আরতি রায়(৫০)সহ পরিবারের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দিন দুপুরে একটি মানুষকে নিয়ে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার চার মাসে পুলিশ হত্যার কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এমন কি কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ছোট ভাই সাগর রায়(২০)অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়ি গ্রামের শ্যামুয়েল বাড়ৈর পুত্র এক সন্তানের জনক আকাশ বাড়ৈ ওরফে মৃদুল বাড়ৈ (৩৫) দিদিকে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। লাশ উদ্ধারের আগের দিন দিদিকে মৃদুল নষ্ট করে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। আমরা পুলিশকে বিষয়টি বলার পরেও মামলার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।