গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় বড় স্ত্রীর নিক্ষেপ করা গরম ভাতের মারে ঝলসে গেছে ছোট স্ত্রীর শরীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের সোমাইড়পাড় গ্রামে সত্য রঞ্জন অধিকারীর দুই স্ত্রীর ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে বড় স্ত্রী কাজলী রানী অধিকারী ভাতের গরম মার ঢেলে দেন ছোট স্ত্রীর শরীরে। এতে ছোট স্ত্রী সুবর্না রানী অধিকারী (১৮) গুরুতরভাবে আহত হয়ে চার দিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের সোমাইড়পাড় গ্রামে সত্য রঞ্জন অধিকারী গত ৩০ বছর পূর্বে একই গ্রামের কাজলী রানীকে বিয়ে করেন। তার সংসারে গত ৩০ বছরে কোন সন্তান জন্ম না নেওয়ায় স্বামী সত্য রঞ্জন অধিকারীকে তার বড় স্ত্রী কাজলী রানী অধিকারী নিজের পছন্দমত পাশ্ববর্তি উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের সাতলা গ্রামের হারান বাইনের কন্যা সুবর্না রানীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে দিয়ে ঘরে তোলেন। বিয়ের পরে ৬ মাস দুজনের মধ্যে ভালই মিল ছিল। হঠাৎ কিছুদিন যাবত দুই স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি চলতে থাকে।
ছোট স্ত্রী কাজলী রানী অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাত দশটার দিকে কাজলী রানী মোরে চুলা থেকে ভাত নামিয়ে মার ছেকতে বলেন। কাজলীর আদেশ পালন করতে একটু বিলম্ব হওয়ায় সে নিজেই ভাতের মা ছাড়িয়ে সেই মার মোর শরীরে ঢেলে দেন। এতে মোর শরীরের বিভিন্ন অংশ পুরে ঝলসে গেছে। ওই বাড়ির সুভাষ অধিকারী, সীমা রানী ম-লসহ লোকজন জানান, সুবর্নার ডাক চিৎকারে তারা এগিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরবর্তিতে স্বামী বিষয়টি গোপন রাখার শর্তে আগৈলঝাড়া দুঃস্ত মানবতা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে গত চার দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সুবর্না। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশ্রাফুল ইসলাম জানান, সুবর্ণার শরীরের বিভিন্ন অংশে অন্তত ২০ শতাংশ পুরে ঝলসে গেছে। সে এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।
অভিযোগ সম্পর্কে কাজলী রনী অধিকারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি গরম ভাতের মার ঢেলে দেওয়ার াভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় বাগানে গড়ম ভাতের মার ছোড়ার সময় ভুল ক্রমে সুবর্ণার গায়ে গিয়ে পরেছে। এটি ইচ্ছকৃত কোন ঘটনা নয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্বামী সত্য রঞ্জন অধিকারী বলেন, কাজলী রানীই আমাকে সুকর্নার সঙ্গে বিয়ে দেন । হঠাৎ তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে। সুবর্না সুস্থ্য হলে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।