গৌরনদী
ভূয়া ওয়ারেন্টে জেল হাজতে দিনমজুর ॥ আদালতের অব্যহতির আদেশ, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ ঢাকার শাহ আলী থানার ভূয়া মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেডে আদালতের ভূয়া ওয়ারেন্টে ১২ দিন যাবত জেল হাজতে রয়েছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার জলার বাকাল ইউনিয়নের বাকাল গ্রামের মৃত হরিপদ দাসের পুত্র দিনমজুর উৎপল দাস(৪৫)। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় গত ১১ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেডে আদালতের বিচারক আসামিদের অব্যহতি প্রদান করে আদেশ দেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান দিনমজুর উৎপল দাস।
আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ জানান, গত ২৮ আগষ্ট থানায় আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বাকাল গ্রামের মৃত হরিপদ দাসের পুত্র দিনমজুর উৎপল দাস(৪৫)র ও তার ছোট ভাই গৌতম চন্দ্র দাস(৪০)র নামে ঢাকা শাহ আলী থানার মামলা নং-৩৭(২)১৭ নং মামলার ওয়ারেন্টে থাকার আদেশ থানায় আসে। এ সময় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক তা তামিল করার জন্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহিদ হোসেনকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এসআই জাহিদ গত ১ সেপ্টেম্বর উৎপল দাসকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতের বিচারক তাকে বরিশালে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উৎপল দাসের বোন সবিতা রানী দাস জানান, তার দাদা উৎপল দাস(৪৫)র ও তার ছোট ভাই গৌতম চন্দ্র দাস(৪০) নামে ভূয়া মামলা ভূয়া ওয়ারেন্ট বের করে প্রতারক চক্র। পরে পুলিশ দাদাকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান। সেখানে ১০ দিন থাকার পর সোমবার বরিশাল কারা কর্তৃপক্ষ দাদা উৎপলকে ঢাকা কেরনীগঞ্চ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করেন। শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বলেন, উৎপল দাসের নামে মামলাটি ভূয়া এই মর্মে আমি সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেডে আদালতের বিচারকের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি পরে বিজ্ঞা বিচারক উৎপল দাসকে মামলা থেকে অব্যহতির আদেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকলে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান উৎপল দাস।
উল্লেখ্য একই গ্রামের মৃত সতীস দাসের পুত্র গবিন্দ দাস(৪৫) তার সহদর দীপক দাস(৩৫) ও তাদের সহযোগীরা জাল জালিয়াতি করে উৎপল দাসের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় উৎপল দাস বাদি হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় জালিয়াতির মামলা করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। ওই মামলাটি তদন্ত শেষে গত ২ জুন পুলিশ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উৎপল দাসকে হয়রানীর করেছে গবিন্দ ও তার সহযোগীরা।