গৌরনদী
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ চিকিৎসার নামে নারী রোগীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বরিশালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রবিবার বিকেলে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী ওই নারী । বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ আবু তাহের মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
আদালতে দায়ের করা এজাহারে বলা হয়, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের (সদর হাসপাতাল) অর্থ সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ সফিকুল ইসলামের কাছে গত ৯ জুলাই চিকিৎসার জন্য আসেন গৌরনদী পৌর এলাকার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের এক গৃহবধূ। হাসপাতালের সরকারী টিকিট কেটে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে আসলেও সে (চিকিৎসক) তার পছন্দমতো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট দিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে দেখা করতে বলেন। সে অনুযায়ী টেস্ট করিয়ে ডাঃ সফিকুল ইসলামের প্রাইভেট চেম্বার নগরীর সদর রোডের মোকলেচুর রহমান ক্লিনিকে যায় গৃহবধূ ।
এজাহারে আরও জানা গেছে, টেস্টগুলো দেখে প্রথমে চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম জানায় রোগীর (রিয়া) মেরুদন্ডের হাড় ফাঁকা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে পরীক্ষার নামে প্রাইভেট চেম্বারের বেডে শুইয়ে গৃহবধূর বুকে টিউমার আছে বলে জানিয়ে জোরপূর্বক বেষ্ট খুলে চাঁপাচাপি করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় ডাঃ সফিকুল ইসলাম। গৃহবধূ বাধা দিলে চিকিৎসক ছেড়ে দিয়ে (সফিকুল) জানায়, টিউমারের অবস্থা ভাল নয়, ওষুধ লিখে দিলাম পরে আর একবার আসলে ভাল হয়ে যাবে।
এজাহারে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে গত ৩১ জুলাই বিকেলে গৃহবধূ তার স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে ডাঃ সফিকুল ইসলামের চেম্বারে দেখা করেন। ওই সময় গৃহবধূ একাই চিকিৎসকের রুমে প্রবেশ করার পর তার টিউমারের অবস্থা দেখার জন্য ওই চিকিৎসক চেম্বারের বেডে শুইয়ে পূর্ণরায় বেষ্ট চাঁপাচাপির পর ধর্ষণের চেষ্ঠা করে। এসময় গৃহবধূর ডাকচিৎকারে তার স্বামীসহ অন্যান্যরা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র করে মিথ্যাচার করা চালানাে হচ্ছে।