গৌরনদী
গৌরনদীতে দত্বক পুত্রকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ
গৌরনদীতে দত্বক পুত্রকে নির্যাতন
করে হত্যার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে সৌদী প্রবাসী’র স্ত্রী তার দত্বক পুত্র নাঈফ ইসলামকে (৪) নিযার্তন করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারা যাওয়ার পর শিশুটিকে বুধবার সন্ধ্যায় কাউকে কিছু না জানিয়ে তরিঘরি করে দাফন সম্পন্ন করে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সরেজমিনে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই গ্রামের সৌদী প্রবাসী সিরাজ মৃধা ও লাইজু বেগমের দাম্পত্য জীবনে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ৫ মাস পূর্বে সিরাজ মৃধা দেশে বেড়াতে আসেন। এ সময় সিরাজের শ্যালক পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার সিডিখান গ্রামের দিন মজুর রহমান বেপারী ও তার স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী বকুল বেগমের দ্বিতীয় পুত্রকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময় দত্বক নেন। এতে বাধ সাজে সিরাজের স্ত্রী লাইজু বেগম। লাইজুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিরাজ তার বাড়িতে এনে ওই শিশুর নাম রাখেন নাঈফ ইসলাম। সম্প্রতি সিরাজ সৌদী আরব চলে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রতিবেশী অভিযোগ করেন, লাইজু শিশু নাঈফকে সব সময় অযতœ, অবলেহা করে আসছিল। বুধবার সকালে নাঈফ কান্নাকাটি করলে এক পর্যায়ে লাইজু শিশুটির উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। ফলে শিশুটির মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। সন্ধ্যায় শিশুটি মারা যায়। অভিযোগ রয়েছে মৃত্যু শিশু পুত্র নাঈফের দিন মজুর ও অসহায় পিতা-মাতাকে মোটা অংকের টাকা বিনিময় সিরাজ মৃধা ও লাইজু বেগম ম্যানেজ করে তাড়াহুড়া করে দাফন সম্পন্ন করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে লাইজু বেগম বলেন, ‘ নাঈফ ইসলাম বুধবার দুপুরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে গৌরনদী সদরে ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেয়া হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় নাঈফ মারা যায়।’ এ সময় ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র দেখতে চাইলে তিনি (লাইজু) কোন ব্যবস্থাপত্র দেখাতে পারেননি।
এ বিষয়ে ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বুধবার দুপুরের পর থেকে আমি চেম্বারে বসেনি। আমি রোগীর চিকিৎসা দিলে তার ব্যবস্থাপত্র থাকবে।’
নিহত নাঈফ ইসলামের মা গার্মেন্টস কর্মী বকুল বেগমের সাথে সাংবাদিকরা মুঠো ফোনে কথা বলার সময় বকুল তার ননদ জামাই (সৌদী প্রবাসী) সিরাজ মৃধাকে ভেবে তাদের আভ্যান্তরিন সমঝোতার কথা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ কবির বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আমি ২ জন পুলিশ অফিসারকে তদন্তের জন্য এলাকায় পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’