গৌরনদী
অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে আটক, স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন ॥ ষরযন্ত্র করে আমার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদীতে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ র্যাবের হাতে আটক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা খানম গতকাল শনিবার গৌরনদী রিপোটার্স ইউনিটি কার্যালয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মিদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, তার স্বামী নির্দোস ও একজন সাধারন ব্যবসায়ী। ষরযন্ত্রমূলকভাবে ঘরে অস্ত্র রেখে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আটক আলমগীর হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা খানম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগমের অসুস্থতার খবর পেয়ে ও বাড়ির মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল করার জন্য ২৫ ডিসেম্বর গ্রামের বাড়ি কা-পাশা আসেন। ঘটনার দিন ১১ জানুয়ারি আমার জা রান্না ঘরে এবং শ্বাশুড়ি অসুস্থ । স্বামী স্থাণীয় মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে যান। এসময় ঘরের দরজা খোলা ছিল। আমার স্বামী মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করে পোনে ২টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে বাড়ির রাস্তার মাথায় প্রতিপক্ষ হালিম কাজী ও তার সহযোগী নজরুল ইসলামকে দাড়িয়ে থাকতে দেখেন। ঘরের দরজায় পৌছলে দেখেন আমাদের ঘর থেকে হালিম কাজীর সহযোগী সরিকলের এমদাত মৃধা (৪০) দ্রুতগতিতে ঘর থেকে বের হচ্ছে। এসময় আমার ঘরে কেন ঢুকেছো তার কাছে জানতে চান। কথাকাটাটির এক পর্যায়ে স্বামী আলমগীর এমদাত মৃধাকে ধরে ফেললে ধস্তাধস্তি করে ছুটে পালিয়ে যায়। দুপুরের খাবার শেষে স্বামী আলমগীর হোসেন বিশ্রামে যান। দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল র্যাব সদস্যরা বাড়িতে আসেন। তারা ঘরের দোতালায় গিয়ে নেমে এসে জানান অস্ত্র পাওয়া গেছে। র্যাব বাড়িতে থাকা অবস্থায় এমদাত মৃধা বাড়ির সামনে ছিলেন। দুপুর তিনটার দিকে আমার স্বামীকে অস্ত্রসহ আটক দেখিয়ে র্যাব নিয়ে যান। বৃহস্পতিার দুপুরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের আলাউদ্দিন কাজী পুত্র আঃ হালিম কাজীর গংদের সঙ্গে আমার স্বামীর চরম বিরোধ তৈরী হয়। সেই থেকে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে হালিম কাজী গংরা একের পর এক ষরযন্ত্র শুরু করে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। স্বামী আলমগীর হোসেন হাওলাদারের ঘরে অস্ত্র রাখার বিষয়টি হালিম কাজী ও তার সহযোগীদের ষরযন্ত্র। প্রতিপক্ষ হালিম কাজী একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ঢাকার কাফরুল থানা ও বরিশাল কোতয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। হালিমের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা একাধিকবার আমার স্বামী, ভাসুর ও দেবরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে জখম করেছে। আমার স্বামীর পরিবারকে জব্দ করতে বিভিন্ন সময় ৮টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমাদের পরিবারকে কোন ভাবেই জব্দ করতে না পেরে অবশেষ হালিম কাজী গংরা ষরযন্ত্র করে বরিশাল র্যাব দিয়ে আমার স্বামীকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য আঃ হালিম কাজী সহযোগী নজরুল ইসলাম ও এমদাত মৃধার সঙ্গে যোগাযোগের চেস্টা করে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে র্যাব-৮’র উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির বলেন, সুনিদৃষ্ট অভিযোগ সঠিক প্রমানের ভিত্তিতে হাতে নাতে অস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়েছে।