গৌরনদী
কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণের বার আত্মসাতের ঘটনায় তোলপাড়
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ দাদার কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণের বার নাতী কর্তৃক আত্মসাতের ঘটনা শুক্রবার সকালে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের খাঞ্জেআলী বেপারী জানান, গত ১১মার্চ তিনি টরকী বন্দরের ন্যাশনাল ব্যাংকের সামনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সাদাকাগজে মোড়ানো একটি স্বর্ণের বার কুড়িঁয়ে পান। যার ওজন প্রায় আড়াই’শ গ্রাম। তিনি (খাঞ্জেআলী) স্বর্ণের বারটি পাওয়ার পর তার দুঃসম্পর্কের নাতী টরকী বন্দরের ফাতেমা ডেন্টাল ক্লিনিকের মালিক ডাঃ মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যায়। এসময় সে (মিজান) বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য খাঞ্জে আলীকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখায়। স্বর্ণের বারটি বিক্রি করে দাদা-নাতী টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ারও প্রলোভন দেয় মিজান। খাঞ্জেআলী আরও জানান, সেই থেকে অদ্যবর্ধি মিজান তার সাথে নানা তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি শুক্রবার সকালে টরকী বন্দরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে ডাঃ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে সে প্রথমে স্বর্ণের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বললেও পরবর্তীতে জানান, আমি সেটা বাগানে ফেলে দিয়েছি। স্বর্ণের বারটি খাঞ্জেআলী বেপারী চাইতে গেলে মিজান তাকে বলেন, স্বর্ণের বারটি টরকী বন্দরের লীলা জুয়েলার্সের মালিক পলাশ কর্মকারের, তাকে সেটা ফেরত দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পলাশ কর্মকার বলেন, স্বর্ণের বারটি ১০টাকার নোটে মোড়ানো ছিল এবং আমার প্যান্টের পকেট থেকে সেটা পড়ে গিয়েছিলো। স্বর্ণের বারের ব্যাপারে খাঞ্জেআলী ও পলাশের কথার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। খাঞ্জেআলী বেপারী বলেন, স্বর্ণের বারটির ওজন প্রায় আড়াই’শ গ্রাম। আর পলাশ বলেন, স্বর্ণের ওজন ছিল মাত্র ছয় আনা। খাঞ্জেআলী জানান, তিনি সাদা কাগজে মোড়ানো অবস্থায় স্বর্ণের বারটি রাস্তা কুড়িয়ে পেয়েছেন। আর ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, স্বর্ণের বারটি পলাশের লুঙ্গির ভাজ থেকে পড়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, খাঞ্জেআলীর কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণের বারটি কৌশলে ডাঃ মিজানুর রহমান ও পলাশ কর্মকার আত্মসাতের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলছেন। এনিয়ে গোটা বন্দরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।