গৌরনদী
লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ডায়গানস্টিসেন্টার সিল ॥ বন্ধের ২ ঘণ্টা পর অবৈধ প্রতিষ্ঠানে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরে গতকাল শনিবার সকালে অবৈধভাবে গড়ে উঠা লাইসেন্সবিহীন ৬টি ডায়গনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ,এন,ও) মো. মাহবুব আলম। বন্ধ করার মাত্র দুই ঘণ্টার পর অবৈধ প্রতিষ্ঠানে চেম্বার করেন গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ গৌতম। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এহেন আচরনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
গৌরনদী মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) এস,এম আফজাল হোসেন জানান, বরিশালে গৌরনদী উপজেলা সদরেসহ বিভিন্ন হাটবাজারে ব্যাঙের ছাতা মত অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসা সেবার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারনা করে আসছেন। কিছুদিন পূর্বে বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. এ,কে,এম সফিকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে ৮/১০টি অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পরে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় ব্যবসা শুরু করেন। বরিশাল সিিভল সার্জন অফিসের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত ২ অক্টোবর গৌরনদীর অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টি সেন্টার বন্ধ করা জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়। গতকাল গৌরনদী থানা পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেডকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন ৬টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। সিল করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতীক ডায়াগননিষ্টিক সেন্টার এ্রা- ক্লিনিক(টরকী), আল আরব ডায়াগননিষ্টিক সেন্টার(আশোকাঠী), আনসার ডায়াগননিষ্টিক সেন্টার(দক্ষিন বিজয়পুর), মদিনা ডায়াগননিষ্টিক সেন্টার এ্যা- ক্লিনিক(চাঁদশী, সোনার বাংলা ডায়াগননিষ্টিক সেন্টার(আশোকাঠী) ও সেবা ডায়াগননিষ্টিক সেন্টার(আশোকাঠী)। স্থাণীয়রা জানান, বন্ধ করে যাওয়ার পরপরই সিল করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা পুনরায় কাজ শুরু করেন।
দুপুর আড়াইটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে (আশোকাঠী) সিল করা আল আরব ডায়াগননিষ্টি সেন্টারের গিয়ে দেখা দেখা গেছে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ গৌতম রোগী দেখছেন। ওই সকল রোগীদের ওই প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নিরীক্ষা দিচ্ছেন। এসময় ডা, আশুতোষ গৌতমকে অবৈধ প্রতিষ্ঠানে বসা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলমের অনুমতি নিয়ে বসেছি। ইউ,এন,ও মাহবুব আলমের কাছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হযেছে। সেখানে বসতে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, ওই অবৈধ প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অংশিদারিত্ব রয়েছে। অবৈধ প্রতিষ্ঠানের মালিক শৈলন্দ্র নাথ সরকার, তুহিন সরদার, সহ কয়েকজন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করেছি। বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. এ,কে,এম, সফিকুল ইসলাম বলেন, সিল করা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ন অবৈধ ও ভূয়া। অবৈধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিল করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সঠিক হয়নি। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।