গৌরনদী
মেজর জলিলের ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপিত ॥ মেজর এম.এ জলিলকে মরনোত্তর খেতাবে ভূষিত করার দাবী
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ দেশ মাতৃকার টানে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পদ ছেড়ে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে বলিষ্ট ভ’মিকা পালন করেছিলেন বরিশালের উজিরপুরের কৃতি সন্তান মেজর এম,এ জলির। ৯ নং সেক্টর কমান্ডার সেই বীর সেনানী মেজর এম.এ জলিলের ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূপী গ্রহন করা হয়। যথাযোগ্য মর্যদায় উজিরপুরে পালিত হয় মেজর জলিলের মৃত্যু বার্ষিকী। মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণ বঙ্গে বক্তাদের দাবী এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মরোনত্তর খেতাবে ভূষিত করা হোক।
এ উপলক্ষে মেজর এম.এ জলিল পরিষদের উদ্যোগে সকাল ৮টায় উপজেলা চত্তরে তার স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, উজিরপুর পৌরসভা, জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল জাসদ, উজিরপুর প্রেসক্লাব, মেজর এম.এ জলিল স্মৃতি পরিষদ, নূরানী মাদ্রাসা, বি,এন খান ডিগ্রী কলেজ, মহিলা কলেজ, শেরে বাংলা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, শিকদার পাড়া সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান । পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে আলোচনা সভায় মেজর এম.এ জলিল পরিষদের সভাপতি এ্যাড: আমির হোসেন মিঞার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রী সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম জামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন খান, মেজর এম.এ জলিলের রনাঙ্গনের সাথী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার মোহাম্মদ জাকারিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আক্রাম হোসেন, উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আঃ রহিম সরদার, পৌর কাউন্সিলর রিপন মোল্লা, উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক সিকদার ও নূর মোহাম্মদ সিকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব সরকার মেজর এম.এ জলিল দেশ মাতৃকার টানে যুদ্ধে অংশগ্রহন করে ৯ নং সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে। যুদ্ধের শেষ মূহুর্তের বিজয় ছিনিয়ে আনার পরে ১৬ ডিসেম্বর খুলনায় সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে সহশ্রাধীক পাকিস্তানী সেনাদের পরাস্ত করে বিজয় ছিনিয়ে আনেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে দীর্ঘ জীবন কারাভোগ করতে হয়েছিল। তিনি জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তার জীবদশায় দক্ষিণ বঙ্গের মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন সরকারের কাছে মেজর এম.এ জলিলকে খেতাবে ভূষিত করার দাবী জানিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধারা ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ জলিলকে মরনোত্তর খেতাবে ভূষিত করার দাবী জানান। তিনি ১৯৮৯ সালে বার্ধক্য জনিত কারনে মৃত্যুবরণ করেন।