গৌরনদী
কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী গৌরনদীতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক গ্রেপ্তার, ৬ মাসের জেল
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা ও শ্ললতাহানীর অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরের মেক্সিম কোচিং সেন্টারের পরিচালক শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান(৩৫)কে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার পুলিশ কোচিং সেন্টারটি তালাবদ্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইদুরকে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ৬ মাসের জেল দিয়ে বরিশাল জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।
গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও গৌরনদী গালর্স স্কুল এ্যা- কলেজের একাদশ শ্রেনির ছাত্রী (১৯) গতকাল শুক্রবার জানান, তিনি গৌরনদী উপজেলা সদরের চরগাধাতলী মহল্লার মো. গিয়াস উদ্দিন আকনের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত মেক্সিম কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের কাছে গত এক বছর ধরে কোচিং করছেন। কোচিনে পড়াশোনা অবস্থায় কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. সাইদুর রহমান (৩৫) কিছুদিন যাবত তাকে উত্যাক্ত করে আসছিল। গত ২৯ অক্টোবর সকালে সে (কলেজ ছাত্রী) তার এক সহপাঠী বান্ধবী কোচিং সেন্টারে পড়তে যান। সেখানে পৌছার কিছুক্ষন পরে পরিচালক সাইদুর রহমান উপস্থিত হয়ে তার সহপাঠীকে বলেন, তোমার মা তোমাকে বাড়ি যেতে বলেছে বলে তাকে পাঠিয়ে দেন।
কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমার বান্ধবী চলে যাওয়ার পরে সাইদুর স্যার আমাকে ঝাপটে ধরে চুমো দেয় এবং শ্লীলতাহানী করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। আমি চিৎকার দেওয়ার হুমকি দিলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হুমকি দেন। তখও আমি বাবা, মা, স্বামীসহ লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখি। গত ২ নভেম্বর সাইদুর পুনরায় আমাকে ফোনে কু-প্রস্তাব দিয়ে কোচিং সেন্টারে আসতে বলে। কলেজ ছাত্রীর পিতা (৪৫) বলেন, বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানানোর পর গত বৃহস্পতিবার আমি মেয়েকে নিয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ,এন,ও) মো. মাহবুব আলমের কাছে যাই। এ সময় মেয়ে লিখিতভাবে ইউ,এন,ওর কাছে অভিযোগ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. সাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শুক্রবার গৌরনদী উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে বিচারক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ,এন,ও) মো. মাহাবুব আলম ৬ মাসের কারাদ-ে দ-িত করেছে। ওই দিন তাকে বরিশাল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সকালে কোচিং সেন্টার তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।