গৌরনদী
ফলো আপ ॥ আত্মসাত করা চাল কিনে ঘাটতি পুরন করে ভিজিডির চাল বিতরন করলেন বার্থী চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নে ভিজিডি কর্মসূচীর প্যাকেটে ৩০ কেজির প্যাকেট খুলে প্রতি প্যাকেট থেকে ৩কেজি করে রেখে আত্মসাত করে ২৭ কেজি করে বিতরনের জন্য ৩৫১ প্যাকেট চাল গুদামজাত করেন বার্থী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহার প্যাদা। ৩৫১ প্যাকেট থেকে ১টন ১শত ৫৩ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে বার্থী ইউনিয়নে ভিজিডি চাল বিতরন স্থগিত করা হয়। অবশেষে চেয়ারম্যান আত্মসাতকৃত চাল কিনে ঘাটতি পুরন করে দিলেন। গতকাল বুধবার প্যাকেটে কেজির ঘাটতি ঘাটতি পুরন করে ৩০ কেজি করে বিতরন করা হয়। আত্মসাত করা ১টন ১শত ৫৩ কেজি চাল গরীবদের ফেরত দিতে বাধ্য হলেন চেয়ারম্যান।
সুবিধাভোগী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রানালয়ের অধীনে দুঃস্ত মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচী (ভিজিডি) অধীনে গৌরনদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২ হাজার ১ শত ১১ জন সুবিধাভোগী রয়েছে। বার্থী ইউনিয়নে ৩৫১ জন সুবিধাভোগী রয়েছে। বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান প্যাদা গত বৃহস্পতিবার গৌরনদী খাদ্য গুদাম থেকে ৩৫১ জনের প্যাকেট গ্রহন করে ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে মজুদ রাখেন। গত শনিবার চাল বিতরনের কথা ছিল।
শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি মো. মাহবুব অলম, সদস্য সচিব ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা খানম ও খাদ্য পরিদর্শক অশোক কুমার চেীধুরী বার্থী ইউনিয়ন গুদামে অভিযান চালিয়ে সংরক্ষিত ভিজিডির চালের প্যাকেটে ৩০ কেজির স্থলে ২৭ কেজি পান। ৩৫১ প্যাকেটে ১ টন ১শত ৫৩ কেজি চাল কম ছিল। যার ফলে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ,এন,ও) ও ভিজিডি উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ মাহবুব আলম ভিজিডি চাল জব্দ করে বিতরন স্থগিত করেন।
বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. শাহজাহান প্যাদা চাল বিতরনের কথা স্বীকার করে বলেন, গুদাম থেকে কম চালের প্যাকেট আমাকে সরবারহ করা হয়। উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্যাকেটে কম চাল দিয়ে প্যাকেট করে আমাকে সরবারহ করেছে। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার টাকায় ১ টন ১শত ৫৩ কেজি চাল ক্রয় করে গতকাল সুবিধাভোগীদের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল বিতরনকরা হয়েছে। এ ব্যাপারে গৌরনদী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মিনার কান্তি বৈদ্য বলেন, আমার টাকায় সে চাল কিনে বিতরনকরেছে এ কথা অদৌ সত্য নয়। নিজেকে বাঁচাতে অপপ্রচার। মূলত নিজেই ঘাটতির চাল ক্রয় করে বিতরন করেছেন।
উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তারাকুপি গ্রামের হানিফ সরদারের স্ত্রী রেহানা বেগম(৩৮)বাউরগাতি গ্রামের ইকবাল হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া বেগম(২৫), কটকস্থল গ্রামের শাহ অলম গোমস্তার স্ত্রী জড়িনা বেগম(৩৩) বলেন, এতদিন মোগো সব সময় চাউল কম দিয়া ঠকাইছে। এইবার মোরা ঠিকমত চাউল পাইলাম। মোরা খুশি এই রহম জানি সব সময় মোগে দেয়। বার্থী ইউনিয়ন ট্যাক কর্মকর্তা ও গৌরনদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, আমি উপস্থিত থেকে ৩০ কেজি করে মেপে সুবিধাভোগীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।