গৌরনদী
গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে হামলার অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মির বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সোমবার সকালে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মিরা হামলা চালিয়ে চকিদার, কর্মচারীদের আফিস থেকে বের করে দিয়ে তালাবদ্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় চেয়ারম্যান মোঃ নুর আলম সেরনিয়াবাত পালিয়ে গিয়ে আত্ম রক্ষা করেছেন বলে জানান। এ ঘটনায় ইউনিয়ন সচিব ও দুই গ্রাম পুলিশ লাঞ্চিত হন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অবহিত করা হয়েছে।
খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোঃ নুর আলম সেরনিয়াবাত ভিজিএফ বিতরনের তালিকা তৈরী করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টা দিকে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির একাংশের দেড় শতাধিক নেতাকর্মি লাঠিসোটা নিয়ে পরিষদে হামলা চালায়। এ সময় সেবা নিতে আসা লোকজন আতংকিত হয়ে পড়ে। খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুর আলম সেরনিয়াবাত আভিযোগ করে বলেন, আমি ভিজিএফ চাল বিতরনের শ্লিপ তৈরীর কাজ করছিলাম। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আক্কেল আলী সরদার (৪৫) দেড় শতাধিক নেতাকর্মি নিয়ে পরিষদে হামলা চালিয়ে কাজকর্ম বন্ধ করে সিল-প্যাড, কাগজপত্র নিয়ে যান। হামলাকারীরা পরিষদের সচিব মোঃ নাসির উদ্দিনকে টেনে হেচরে অফিস থেকে বের করে দিয়ে পরিষদে তালাবদ্ধ করে দেন। এ সময় গ্রাম পুলিশ মোঃ হুমায়ন সরদার ও রিয়াদ হাওলাদার বাধা দিতে গিয়ে লাঞ্চিত হন । পরিষদের সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, সরকারি কার্যক্রম বন্ধ রাখা ঠিক না বুঝিয়ে বললে হামলাকারীরা পরিষদ খুলে দেন । চেয়ারম্যানকে পেলে হাত পা গুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মোঃ আক্কেল আলী সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলার সঙ্গে আমি জড়িত না। সাধারন মানুষের হামলার মুখে চেয়ারম্যান পালিয়ে গেছে। সাধারন মানুষ পরিষদে তালাবদ্ধ করে দিলেও পরবর্তিতে সচিবকে কাজ করতে দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
উল্লেখ গত মঙ্গলবার গৌরনদী উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মিরা ইউপি ৬ চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারক লিপি দেন এবং সকল পরিষদ তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়। পরের দিন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি তালা খুলে দেন। আন্দোলনকারীরা ঘোষনা দেন গৌরনদী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্রান অপসারন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং উপজেলা পরিষদে ফ্যাসিষ্টের দোষর ইউপি চেয়ারম্যানদের ঢুকতে দেয়া হবে না।