গৌরনদী
রাষ্ট্র শক্তি দিয়ে জনগনের শক্তিকে দমন করা যায়না -স্বপন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ও বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, এই দেশ জনগনের, দেশের মালিক হচ্ছেন এই দেশের নাগরিকেরা। কিন্তু বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠি, ব্যক্তিবর্গরা জনগনকে পাশ কাটিয়ে জোর করে ক্ষমতাকে আকড়ে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জনগণ তাদের শক্তি দিয়ে বার বার প্রমান করেছে কোন রাষ্ট্র শক্তি দিয়ে জনগনের শক্তিকে দমন করা যায়না।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডস্থ অডিটোরিয়ামে “অবাধ জাতীয় নির্বাচনের জন্য ফ্যাসিবাদমুক্ত ও পেশাদারী প্রশাসন তথা রাষ্ট্র অপরিহার্য শর্ত” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য স্বপন বলেন, ৫ আগষ্টে গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে পলাতক শেখ হাসিনা দেশের সকল বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করেছে। বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে। একমাত্র দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী ব্যতিত আর সকল বাহিনীকে হাসিনা হত্যাকান্ডে ব্যবহার করেছে। সর্বশেষ ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এই প্রশাসনকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা জনগনের ভোট ডাকাতি করেছে। আমরা দেখেছি প্রশাসনের একটি অংশগ্রহন খুনি হাসিনাকে অবৈধ ভোটে নির্বাচিত করেছে। এরইমধ্যে আমরা তালিকা করেছি এই তিনটি নির্বাচনে বিতর্কিত ডিসি কারা ছিলো। এই তিনটি নির্বাচনে খুনি হাসিনার সর্বশেষ খুনের জন্য তাকে নির্বাচিত ঘোষনা করে স্বাক্ষর দিয়েছিলো কোন কোন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
জহির উদ্দিন স্বপন আরও বলেন, আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দল এই তালিকা তৈরি করে দুই ভাগে ভাগ করবো। যাদেরকে সরকার বাধ্য করেছে কিন্তু তারা পেশাদারি কর্মকর্তা। আমরা সেই সব পেশাদারি কর্মকর্তাদের সম্মান জানাই এবং আমরা নির্বাচিত হতে পারলে ভবিষ্যতে সেই সব পেশাদারি কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করার জন্য ব্যবস্থা নেবো। আর আমাদের কাছে যে প্রমান থাকবে, কোন রিটার্নিং, সহকারী রিটানিং অফিসার, কোন ডিসি-ইউএনও এই ফ্যাসিবাদকে তিনটি নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ৫ আগষ্টের হত্যার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলো। সেই নির্বাচনের সংশ্লিষ্টরা ৫ আগষ্টে হত্যার সহযোগি হিসেবে চিহ্নিত হবে।
গৌরনদী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সরোয়ার আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব মিজানুর রহমান খান মুকুল, আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ হাফিজুল ইসলাম, সদস্য সচিব বশির আহম্মেদ পান্না, গৌরনদী উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু, সদস্য সচিব জহির সাজ্জাদ হান্নান, পৌর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সফিকুর রহমান স্বপন। আলোচনা সভায় বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।