গৌরনদী
গৌরনদীতে শিশুকন্যা মাহি হত্যার রহস্য উদঘাটন\ ধর্ষনের পর হত্যা, গ্রেপ্তার-৩
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া গ্রামের শিশু কন্যা তাসলিমা আক্তার মাহি (৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডে জড়িত তিনজনকে শনিবার গ্রেপ্তার করেছে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ। শিশুকন্যা তাসলিমাকে ধর্ষনের পর হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়।
গ্রেপ্তারকুতরা হল গৌরনদীর পাশ্ববর্তি উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোড়াকাঠি গ্রামের হালিম বেপারীর ছেলে ইসমাইল বেপারী (২৪), গৌরনদীর বাটাজোর গ্রামের নজরুল খানের ছেলে সাকিব খান (১৯) ও দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া গ্রামের সিদ্দিক সরদারের ছেলে লিটন সরদার (৩০)। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসিতদন্ত) মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রতিবেশীর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখে রাতে বাড়ি ফেরার পথে গত ১৪ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন স্কুল ছাত্রী তাসলিমা আক্তার মাহি (৯) । গত ১৬ ডিসেম্বর বাবা সবুজ হাওলাদার গৌরনদী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের দশ দিন পর ২৪ ডিসেম্বর প্রতিবেশী হেলাল সরদারের পুকুরে ভাসমান লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। তারা পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । তাসলিমা আক্তার মাহি (১০) গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া গ্রামের সবুজ সরদারের মেয়ে এবং দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী। গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু কন্যা তাসলিমাকে ধর্ষনের পর হত্যার কথা স্বীকর করেছে এবং শনিবার সন্ধ্যায় আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।