গৌরনদী
পাঠক মতামত ফেইসবুক সমাচার ॥ আতিকুর রহমান শামীম
প্রিয় ফেইসবুক বন্ধুরা সবাইকে শুভেচ্ছ ও অভিনন্দন। আমি কোন লেখক নই, লেখার তেমন কোন অভ্যাসও নেই। লেখার কোন ইচ্ছাও ছিল না। ইদানিংকালে ফেইসবুকে কিছু পোষ্ট দেখে এবং সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় বন্ধুদের লেখা দেখে কিছু লেখার মানষিকতা থেকে এ লেখা। ভুল ত্রটির জন্য বিনয়ের সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমার এ নিবেদন।
প্রিয় বন্ধুরা ফ্রে- বা বন্ধু কি? আন্তরিকতা ও আত্মার বন্ধন থেকেই বন্ধুত্ব হয়। ফেইসবুক ফ্রে- অথ্যাৎ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বন্ধুত্ব। আমরা যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বন্ধুত্ব করি তাহলে সেখানে একে অপর বন্ধুর বিরুদ্ধে বিষোদগার কেন?
আমি বেশ কিছু দিন যাবত লক্ষ্য করছি কোন কোন বন্ধু আমার অনুমতি ব্যতিত আমাকে নিয়ে ভালÑ মন্দ, পক্ষেÑ বিপক্ষে কিছু পোষ্ট দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। আমি সেই সকল বন্ধু ও আমাদের দলীয় নেতা কর্মিদের জ্ঞাতার্থে বলছি। এহেন মিথ্যাচার না চালানোর জন্য অনুরোধ করছি। গৌরনদীর রাজনীতিতে কারা কারা সুযোগ সন্ধানী, কারা কবে আওয়ামীলী রজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, ভোল্ড পাল্টিয়েছে, এদল থেকে সে দলে যোগ দিয়েছে তা গৌরনদীর মানুষই ভাল জানে। যারা বড় বড় কথার ফুল ঝুড়ি ছড়ায় তাদের পরিবারের সদস্যসরা কোন কোন দলে সঙ্গে সম্পৃক্ত তাও মানুষের অজানা নয়। দলের মধ্যে কারা হাইব্রিড নেতা তাও মানুষ জানে। মুজিব আদর্শ প্রতিষ্টা ও দক্ষিনাঞ্চলেরর রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত অবদুল্লাহর রাজনীতির জন্য জামাত বিএনপি জোটের দেয়া কতটি মামলা মোকাবেলা করেছেন এবং কতদিন জেল খেটেছেন, কতটুকু রক্ত দিয়েছেন সর্বোপরি কি পরিমান নির্যাতন হয়রানীর শিকার হয়েছেন গৌরনদীর সচেতন রাজনৈতিক নেতা কর্মিসহ সাধারন মানুষ জানেন। এ নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। দলের জন্য কার কতটুকু অবদান তা প্রমান করে সত্যিকারের একনিষ্ট কর্মিদের বাছাই করে ইতোমধ্যেই পদ পদবি দিয়ে তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমি দক্ষিন বঙ্গের রাজনৈতিক অভিভাবক, সাবেক চীফ হুইপ ও শান্তি চুক্তি প্রণেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ একজন ক্ষুদ্র কর্মি এবং তার সুযোগ্য উত্তরসুরী গৌরনদীÑ আগৈলঝাড়ার আগামি দিনের ডায়নামিক রাজনীতিবিদ আশিক আবদুল্লাহর অনুসারি। এর বেশী রাজনৈতিক পরিচয় আমার কাম্য নয়। আমি আমৃত্যু আমার অভিভাবক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ তার পরিবারের একজন বিশস্থ রাজনৈতিক কর্মি বা সহযোগী হিসেবে থাকার অঙ্গীকার পুনঃ ব্যক্ত করছি।
কোন এক অতি উৎসাহী বন্ধু আমার ছবি দিয়ে আমাাকে রাজনৈতি কা-ারী বলে অভিহিত করেছেন । আমি গৌরনদীর রাজনীতির কোন কান্ডারী নই এবং ষ্টারও নই। তাকে এ ধরনের পোষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। আমার নিজ ফেইজবুক আইডি থেকে পোষ্ট করা ছবি বা লেখা আমার মতামত হিসেবে গন্য হবে কিন্তু ভিন্ন ফেইসবুক আইডির পোষ্টের মতামত আমার নয়। ওই সকল বন্ধুদের বলতে চাই দয়া করে আপনারা আমার বিনা অনুমতিতে কোন ছবি কিংবা আমাকে নিয়ে কোন লেখা পোস্ট করবেন না। আওয়ামীলীগের কিংবা সহযোগী সংগঠনের আভ্যন্তরীর রাজনীতিতে আমি কারো প্রতিপক্ষ নই, আমাকে নিয়ে কোন অমুক বনাম অমুক করার সুযোগ নেই। আমি কখনোই নিজেকে বড় মাপের নেতা ভাবিনি শুধু এতটুকু ভাবি যে, আমি মুজিবের একজন সৈনিক ও আবুল হাসনাত আবদুলল্লাহর ¯েœহধন্য একজন কর্মি।
আর একটি কথা আমার দলের যে সকল রাজনৈতিক নেতা কর্মিরা দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির জন্য পোষ্ট দেন তাদেরকে এ ধরনের পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। কারন ফেইসবুকে বন্ধুরা শুধু আওয়ামীলীগের ঘরোয়া রাজনীতির বন্ধু নয়। সেখানে ভিন্ন দল ও মতের বন্ধু রয়েছে। ফলে বিতর্কিত পোস্টগুলো শুধু দলের ভাবমূর্তিই বিনষ্ট করে না, দলের মধ্যে অনৈক্যও সৃষ্টিও করে। আবার ভিন্ন দলের প্রতিপক্ষরা আমাদের দূর্বলতাকে পূজি করার সুযোগ পান। এহেন পোষ্ট না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার সকলই যখন বন্ধু তখন নেগেটিভ ভাবনা পরিহার করে পজেটিভ দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে ভালটাই তুলে ধরি তাহলে বন্ধুত্ব আরো গভীর হবে এ আহবান সকল বন্ধুদের প্রতি।
অতীতে কোন কোন বন্ধু মিথ্যাচার দিয়ে সত্যকে আড়াল করার মানুষিকতা নিয়ে অনেক বরেন্য রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু তারা সত্যকে আড়াল করতে পারেনি। সত্য সত্য হিসেইে প্রস্ফুটিত হয়েছে। কারন গৌরনদী Ñ আগৈলঝাড়ার সব শ্রেনির মানুষই জানেই কে কি ও কার মর্যদা কতটুকু? সুতারাং সাধারন মানুষকে বিভ্রান্তকারী মিথ্যাচারীগনকে কখনোই মানুষ বিশ্বাস করেনি।
কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাকান্ডা চালিয়ে কিংবা মিথ্যাচার করে অতীতেও কেহ সফল হতে পারেনি ভবিষ্যাতেও পারবে না। এ কথাটি গৌরনদীর রাজনীতিতে বার বার প্রমানিত হয়েছে। ইতপূর্বে যারা মিথ্যাচার চালিয়েছে তারাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে পতিত হয়েছে। মোঃ আতিকুর রহমান শামীম, সভাপতি পৌর যুবলীগ ও পৌর কাউন্সিলর, গৌরনদী পৌরসভা।