গৌরনদী
গৌরনদীতে বিএনপি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আহত-৬
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের দুই পক্ষের মধ্যে শুক্রবার দিবাগত রাতে হামলা পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের চারজনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য আল আমিন চাপরাশি (৩৮)র সাথে প্রতিপক্ষ বাটাজোর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ রাজীব হাওলাদার (৪৫)র সাথে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের চায়ের দোকানের সামনে আল আমিনের উপর হামলা চালিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দিলে পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়।
গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য আল আমিন চাপরাশি (৩৮) অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগষ্টের পরে বাটাজোর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ রাজীব হাওলাদার (৪৫), ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য দুলাল সরদার ওরফে বাঘা দুলাল (৫০), যুবদল সদস্য লোকমান বেপারী (৪৮) ও জুয়েল (৩৩) এলাকায় দখল, চাঁদাবাজিসহ অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। আমি এর প্রতিবাদ করায় তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে নোয়াপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের চায়ের দোকানের বসে চা পান করছিল। এ সময় বাটাজোর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ রাজীব হাওলাদার (৪৫), ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য দুলাল সরদার ওরফে বাঘা দুলাল (৫০), যুবদল সদস্য লোকমান বেপারী (৪৮) ও জুয়েল (৩৩)র নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় ধারাল অস্ত্র, পিস্তল, সটগান, হকিষ্টিক জিআই পাইপসহ আমার উপর হামলা করে পিটিয়ে আমার বাম পা ভেঙ্গে দেয়। এ সময় আমাকে রক্ষায় আমার সমর্থক স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আলাউদ্দিন সরদার বাবুলকে (৩৩) হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপিয়ে জখম করেছে। এ ছাড়া আমার সমর্থক লিটন সরদার (৪৫) ও জয় (১৫)সহ ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। এ অভিযোগ অস্বীকার করে বাটাজোর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ রাজীব হাওলাদার (৪৫) বলেন, হামলার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। আল আমিন তার সন্ত্রাসী সমর্তকদের নিয়ে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে দুইজনকে আহত করেছে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইউনুস মিয়া বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কথা শুনেছি। আল আমিন চাপরাশির পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।