গৌরনদী
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ॥ কামার শিল্পের কারিগররা দা, বটি, চাপাতি, চাকু তৈরীতে ব্যস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামার শিল্পের কারিগররা। দিন রাত টুং টাং শব্দে মুখরিত হচ্ছে হাট বাজারসহ কামারবাড়ি।
গৈলা বাজার, গুপ্তের হাট বাজার, সাহেবেরহাট, বাশাইল, রাজিহার, বাকাল বাজার, পয়সারহাট, আগৈলঝাড়া বাজার, ছয়গ্রাম, কোদালধোয়া, উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারসহ কামারদের বাড়িতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছে কামার শিল্পের কারিগররা। তৈরীকৃত দা, চাপাতি, চাকুসহ সরঞ্জামাদি স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি সরবারহ করা হচ্ছে । স্থানীয় বাজার থেকে লোহা কিনে সেগুলো আগুনে পুরে দা, বটি, চাপাতি, চাকুসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করছে কামাররা। বর্তমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে এ শিল্প।
উপজেলার গৈলা বাজারের কামার শিল্পের কারিগর শচীন কর্মকার ও নেপাল কর্মকার জানান, এক সময় কামারদের যে কদর ছিল বর্তমানে তা আর নেই। মেশিনের সাহায্যে বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে ফলে আমাদের তৈরি যন্ত্রপাতির প্রতি মানুষের অগ্রহ কমে যাচ্ছে। । হয়তোবা এক সময় এই পেশা আর থাকবে না। তবে কোরবানির ঈদের সময় আমরা একটু আশাবাদী হই। কামার শিল্পী গৌরাঙ্গ বলেন, আমাদের পূর্ব পরুষেরা এই কাজ করে আসছে সারা বছর তেমন কোন কাজ না থাকলেও কোরবানীর সময় আমাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়। এব্যাপারে নতুন হাটের কামার শিল্পী বিপ্লব বলেন, এই পেশায় আমরা যারা আছি তারা খুবেই অবহেলিত। বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বেশি হলেও সে অনুযায়ী আমরা নায্যমূল্যে পাচ্ছি না। এই পেশায় থেকে সংসার চালাতে খুবেই কষ্ট হয়। কামার কর্মিরা মনে করেন, সরকারী সহযোগিতা না পেলে হয়তো এ শিল্প একদিন হারিয়ে যাবে।