বরিশাল
গৌরনদীতে সৎ মাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ সৎ ছেলে মেয়ের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকীর চর গ্রামে শনিবার জমাজমি বিরোধকে কেন্দ্র করে সৎ মা সেলিনা বেগমকে (৫৫) পিটিয়ে রক্তাক্তভাবে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্ত্রী সেলিনা বেগমকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে স্বামী মোসলেম উদ্দিন হাওলাদারকে (৭০) মারধর করা হয়। আহত সেলিনা বেগমকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার বড় পুত্রবধূ সুলতানা রাজিয়া বাদি হয়ে তিন নোনদ ও এক দেবরকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয়রা জানান, গৌরনদী উপজেলার টরকীর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন হাওলাদারের (৭০) প্রথম স্ত্রী বকুল বেগম ১৯৯০ সালে মারা যান। পরবর্তি তিনি সেলিনা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। প্রথম ঘরের স্ত্রী বকুল বেগম মারা যাওয়ার সময় পুত্র মোশারফ হোসেন, কন্যা জাহানারা বেগম (৫৫), নাজমা বেগম (৩০), শারমিন বেগম (২৭) ও পুত্র মাইনুল ইসলাম (৪৫) নামে পাঁচ সন্তান রেখে যান। বর্তমানে মোসলেম উদ্দিন দ্বিতীয় স্ত্রী সেলিনা বেগমকে নিয়ে আনন্দপুরস্থ গ্রামে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। মোসলেম উদ্দিন অভিযোগ করেন বলেন, আমার আগের ঘরের সন্তান জাহানারা বেগম (৫৫), নাজমা বেগম (৩০), শারমিন বেগম (২৭) ও এক পুত্র মাইনুল ইসলাম (৪৫) আমার কোন খোজ খবর রাখেন না এবং কোন দায়িত্ব পালন করেন না। বরং তারা আমার বসত ভিটা লিখে নিতে আমার উপর চাপ দেন । আমি তা না দেওয়ায় তিন কন্যা ও এক পুত্র আমার দ্বিতীয় স্ত্রী সেলিনার উপর প্রায়ই হামলা করে মারধর করে আমি বাধা দিলে আমাকেও মারধর।
মামলার বাদি সুলতানা রাজিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তার নোনদ জাহানারা বেগম (৫৫), নাজমা বেগম (৩০), শারমিন বেগম (২৭) ও দেবর মাইনুল ইসলাম (৪৫) বাড়িতে গিয়ে শ্বশুড়ী সেলিনা বেগমকে মারধর শুরু করে এক পর্যায়ে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্তভাবে জখম করেছে । এ সময় তার শ্বশুড় মোসলেম উদ্দিন স্ত্রীকে সেলিনা বেগমকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাকে পিটিয়ে আহত করেছে। স্বামী স্ত্রীর ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা শ্বাশুড়িকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে শ্বশুড়ির কানের দুল ও গলার স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহানারা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়েছে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার কথা সত্য না। মাইনুল ইসলাম বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, উল্লেখিত ঘটনায় সুলতানা রাজিয়া বাদি হয়ে নোনদ জাহানারা বেগম (৫৫), নাজমা বেগম (৩০), শারমিন বেগম (২৭) ও দেবর মাইনুল ইসলাম (৪৫)কে আসামি করে শনিবার গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।