বরিশাল
গৌরনদী পৌরসভা উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রে আসতে বাধাদান, হামলা পাল্টা হামলায় আহত-১০
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে বুধবার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের বাহিরে ভোটারদের আসতে বাধাদানকে কেন্দ্র করে হামলা পাল্টা হামলায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহত ২ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন হামলা হয়নি।
আহতরা হলেন, গৌরনদী পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নারিকেল গাছ প্রতীকের সমর্থক মোঃ লিটন বেপারী, গৌরনদী পৌর সভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর খায়রুন নাহার, সাত্তার মোল্লা (৭০), সুখমনি বেগম (২৯) ময়না বেগমকে (৩০), পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম সরদার ও সোহান খান (২৫)সহ ১০জন।
স্থানীয় লোকজন, আহত ও প্রার্থীরা জানান, গৌরনদী পৌরসভা মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে বুধবার সকালে ভোট শুরুর আগে সকাল পোনে ৮টার দিকে গৌরনদী পৌরসভার পালরদী, টরকী, হরিসোনা ও কাসেমাবাদ এলাকায় কেন্দ্রে থেকে ৫/৭শ গজ দুরে মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদের আসতে বাধা দেয়। এতে প্রতিবাদ করায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
গৌরনদী পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নারিকেল গাছ প্রতীকের সমর্থক মোঃ লিটন বেপারী অভিযোগ করে বলেন, সকাল ৮টার দিকে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও মোবাইল ফোণ প্রতীকের সমর্থক মোঃ লুৎফর রহমান পালরদী মৎস্য খামার ভোট কেন্দ্রের সন্নিকটে দাসবাড়ি নামক স্থানে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়। খবর পেয়ে আমি সেখানে গেলে লুৎফর কয়েকটি বোমা হামলা করে আমার ও আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমাকে সাত্তার মোল্লা (৭০)সহ ৫জনকে আহত করেছে। গৌরনদী পৌর সভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিরর খায়রুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, আমরা ভোট কেন্দ্রে আসার পথে সকাল ১১টার দিকে ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান হামলা করে আমাকে, সুখমনি বেগম (২৯) ময়না বেগম বেগমকে (৩০) পিটিয়ে আহত করেছে। লুৎফর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন , আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। বোমা হামলার ঘটনা ঘটেনি। হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে তবে তাও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে।
পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম সরদার অভিযোগ করে বলেন, কাসেমাবাদ হাই মার্কেট থেকে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে কাসেমাবাদ আলীয়া কামেল মাদ্রসা ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে কেন্দ্রে পূর্ব পাশে পৌছলে মোবাইল ফোন মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনের সমর্থক সোহান খানসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে। স্থাণীয়রা জানান, এ হামলার জের ধরে মাসুম সরদারের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে সোহান খানকে কুপিয়ে জখম করেছে। আহত মাসুম সরদার ও সোহান খানকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুম সরদার ও সোহান খান একে অপরকে দায়ী করেন।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ভোট কেন্দ্রে বাহিরে কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে কিন্তু ভোট কেন্দ্রে কোথায়ও কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাইানি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়াপ হবে। নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আলাউদ্দিন ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার ভোটারদের কেন্দ্রে বাধা দেয়া হয়েছে। পথে পথে বোমা হামলা করে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। তবে সুষ্ঠ বোট হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মোবাইল ফোনের প্রার্থী এইচ, এম, জয়নাল আবেদীন বলেন, ফিসারি অফিসে কেন্দ্রে আমার এজেন্টেদের বের করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ভোট সুষ্ঠ হয়েছে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। ফিসারিজ ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার আবুল বাশার জয়নাল অবেদীনের প্রত্যখান করে বলেন, কেন্দ্র জয়নাল সাহেব কোন এজেন্ট দিতে পারেনি।