বরিশাল
গৌরনদী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরহাদের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফরহাদ হোসেন মুন্সীর বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী গৈলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ জামাল হোসেন গোমস্তা (মাইক প্রতীক) মঙ্গলবার সকালে বরিশাল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জামাল গোমস্তা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থী ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেন মুন্সীর (টিউবওয়েল প্রতীক) গৌরনদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিজ নামে বিদ্যুৎ সংযোগের বিপরিতে বকেয়া পাওনা রয়েছে । যাহা হলফনামায় সম্পূর্ন গোপন করা হয়েছে। জামাল গোমস্তা অভিযোগে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ফরহাদ মুন্সী তার হলফনামায় দায়-দেনা সমূহের প্রকৃতি ও বর্ননায় ইসলামী ব্যাংকে একক ও যৌথভাবে মোট ২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা দেনার বিবরন দিলেও তার কাছে পল্লী বিদ্যুতের পাওনার বিষয়টি গোপন করে গেছেন। হলফনামায় তথ্য গোপন করায় অপরাধে ফরহাদ মুন্সীর প্রার্থীতা বাতিল করারও তিনি দাবী জানান। অপরদিকে চলতি বছরের গত ৩০ এপ্রিল সততা এগ্রিকালচার প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক মোঃ ফরহাদ হোসেন মুন্সীর নামে গৌরনদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে একটি বিদ্যুৎ বিল ইস্যু করা হয়। যাহার বিলের পরিমাণ বিলম্ব মাশুলসহ ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯৯ টাকা। এ বিষয়ে গৌরনদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ স¤্রাট খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলা বা কোন প্রকার তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। অভিযোগের ব্যপারে গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থী ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেন মুন্সীর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কাছে কোন বকেয়া নাই। তাছাড়া তথ্য গোপনের অভিযোগ সঠিক না কারন বিদ্যুৎ বিল একটি চলমান প্রক্রিয়ায় তাই দেনার মধ্যে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমানের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি । বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারভূত নয়। বিষয়টি এখন নির্বাচন ট্রাইবুনালে এখতিয়ারভূত।