গৌরনদী
উজিরপুরে শিশু কন্যাকে ধর্ষনের পর হত্যা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের উজিরপুর পৌর সদরের মাদার্শি মহল্লায় বেড়াতে এসে ধর্ষনের পর হত্যার শিকার বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী তামান্না আক্তারের (১০) হত্যার বিচার ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আগরপুর আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আগরপুর-বাবুগঞ্জ সড়কের বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধর ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠি হয়। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে মঙ্গলবার হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভার সভাপতিত্ব করেন আগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালণা কমিটির সভাপতি মোঃ ছানাউল হক। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আগরপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এবায়দুল হক শাহীন, আগরপুর আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেন, নিহত শিশু তামান্নার মা তানজিলা বেগম, বাবা মোঃ আমির হোসেন ফকির। বক্তারা শিশু কন্যা তামান্না হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি জানান। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনিট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ছাড়াও এলাকার সাধরন মানুষ অংশ নেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর গ্রামের আমির ফকিরের মেয়ে ও আগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী তামান্না আক্তার (১০) পাশ্ববর্তি বরিশালের উজিরপুর পৌর সদরের ৪নং ওয়ার্ডের মাদার্শি মহল্লার খালু বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৩ মে ধর্ষনের শিকার হন। পরে ধর্সনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা তানজিলা বেগম বাদি হয়ে সুলতান ফকির (৫০), তানজিলা বেগম (৪৪), তাওহীদ হাওলাদার (৩০), সুমি আক্তার (৩৫) ও শিমু আক্তারকে (৩৩) আসামি করে ৫ মে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে ধর্ষন করে হত্যা একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ ইয়া রব হোসেন অভিযোগ আমলে নিয়ে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে বুধবার উজিরপুর মডেল থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে প্রধান আসামি তাওহীদ হাওলাদারের মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আসামি সুলতান ফকিরের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির লোকজন জানান মামলা দায়েরের পর সবাই পলঅতক রয়েছে।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ তৌহীদুজ্জামান বলেন, বরিশাল র্যাব—৮ ও ফরিদপুর র্যাব—১০ ও উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন চুনাঘাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মোঃ তাওহীদ হাওলাদার (৩০),মোঃ সুলতান হাওলাদারকে (৫০)গ্রেপ্তার করেছে।