গৌরনদী
গৌরনদীতে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বাসষ্টান্ডে রোববার রাতে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি এস.এম হীরাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়াা গেছে। আহত ছাত্রদল নেতা প্রান ভয়ে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি এস.এম হীরা অভিযোগ করে বলেন, হামলা মামলার ভয়ে আমি দীর্ঘ দিন যাবত গৌরনদীতে থাকি না। সম্প্রতি সময়ে গৌরনদীর টরকীর নিজ বাড়ি আসি। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গৌরনদী বাসষ্টান্ডের বিলাশ শীলের সেলুনে সেইভ করতে যাই। এ সময় গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ইমন ফকির (২৪) ও ইয়ামিন ফকির (২৫)র নেতৃত্বে ৪/৫ জন নেতাকর্মি আমাকে সেলুন থেকে ডেকে বাহিরে এনে সালাম হাওলাদারের বাড়ির গলির মধ্যে নিয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় দুটি আঘাত করে রক্তাক্ত করে এবং চরথাপ্প্র দিয়ে আমাকে দৌড়ে পালাতে বলে। আমি প্রান রক্ষায় ওদের কথা মত দৌড়ে পালাতে গেলে ৩/৪ জন সন্ত্রাসী সিনেমার ভিলেন ষ্টাইলে মটরসাইকেল নিয়ে আমাকে ধাওয়া করে । আমি দৌড়ে টরকী মিতালী ষ্টোরের কাছে পৌছলে সন্ত্রাসীরা পুনরায় লোহার রড, ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে আমাকে ফেলে যায়। রাত ১১টার দিকে পথচারীরা আমাকে দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেন। স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌছে আমাকে উদ্ধার করে গোপনে চিকিৎসা দেন। অভিযোগ সম্পর্কে জানার জন্য ছাত্রলীগ নেতা ইমন ফকির ও ইয়ামিন ফকিরকে ফোন দিলে তারা ফোন ধরেননি। এ প্রসঙ্গে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জোবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভূইয়ার কাছে ফেঅন দিলে তিনি কথা বরতে রাজি হননি। গৌরনদী মডের থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে াাইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে গৌরনদী উপজেলা ছাত্ররেিগর সাধারন সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইমন ফকির (২৪) ও ইয়ামিন ফকির (২৫) আমার ছাত্রলীগের কমিটির কেউ না। আর ঘটনা সম্পর্কে বলেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি অবহিত না।