বরিশাল
উজিরপুরের বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতায় ইউনিয়নের হারতা গ্রামে ৭০ বছরের বৃদ্ধা লক্ষী রাণী মজুমদারকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় শুক্রবার সকালে হারতা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য অঞ্জনা রানী বাড়ৈর বিরুদ্ধে রঞ্জন মজুমদার বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেছে।
স্থাণীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, উজিরপুর উপজেলার হারতায় ইউনিয়নের হারতা গ্রামের রঞ্জন মজুমদারের সাথে হারতা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য অঞ্জনা রানী বাড়ৈর জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকাল ৮টায় রঞ্জন মজুমদার তার স্বজনরা অসুস্থ্য কাকা শুকলাল মজুমদারের চিকিৎসার জন্য হারতা বাজারে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়ে ভাঙ্গা ব্রীজের কাছে পৌছলে হারতা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য অঞ্জনা রানী বাড়ৈ ও তার স্বামী প্রমানন্দ বাড়ৈ তাদের পথরোধ করে ঝগড়াঝাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
রঞ্জন মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহিলা মেম্বার অঞ্জনা রানী বাড়ৈ ও তার স্বামী প্রমানন্দ বাড়ৈ ,তার ছেলে রতন বাড়ৈ, মানিক বাড়ৈ ও উজ্জ্বল বাড়ৈ আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে রক্ষায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা মা লক্ষী রাণী মজুমদার এগিয়ে আসলে পিটিয়ে তার হাত ভেঙ্গে দেয়। তাকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মহিলা ইউপি সদস্য অঞ্জনা রানী বাড়ৈ বলেন, রঞ্জন মজুমদার আমার পুত্রদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঝগড়াঝাটির ঘটনা ঘটেছে, হামলার অভিযোগ সত্য নয়। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় রঞ্জন মজুমদার বাদী হয়ে সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য অঞ্জনা রানী বাড়ৈকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।