গৌরনদী
ভাঙ্গা ব্রিজের সংস্কারের প্রাককলন তৈরীতে ব্যর্থ উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে উজিরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে
উজিরপুর বরিশাল প্রতিবেদক ঃ
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল-ধামুরা সড়ক ভায়া সরকারি মৎস্য হ্যাচারি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি ব্রিজের সংস্কারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয় উজিরপুর উপজেলা পরিষদ। তিন মাসে কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় উপ সহকারী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের কাছে সংস্কার সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ মজিদ শিকদার বাচ্চু। প্রাককলন তৈরী ও কাজ শুরু করতে না পারার ব্যবর্থতা ঢাকতে উপ সহকারী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ মজিদ শিকদার বাচ্চু বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল-ধামুরা সড়ক ভায়া সরকারি মৎস্য হ্যাচারি গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজের সংস্কারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয় উজিরপুর উপজেলা পরিষদ। তিন মাস অতিবাহিত হলেও কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় এবং প্রাককলন তৈরী না করার কারন উপ প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের কাছে ৫ মার্চ জানতে চান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ মজিদ শিকদার বাচ্চু। এছাড়াও এল,জি,ইডির বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও বিল সংক্রান্ত কৃত্রিম জটিলতার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর কাছে কারণ জানতে চান এবং সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের ব্যর্থতা ও দোষ ঢাকতে উপ প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা ও অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সুব্রত রায় জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমানকে জনবহুল ভাংগা ব্রিজটিকে জনগণের ব্যবহারের জন্য সাময়িকভাবে সংস্কারের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছিলেন, কিন্তু সহকারী প্রকৌশলী সংস্কারের ইস্টিমেট করতে পারেননি। এতে চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনাকে পুঁজি করে তৃতীয় কোন পক্ষ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ঘটিয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলা করার চেষ্টা করছে । সহকারী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, উজিরপুর উপজেলার ৭ নং ধামরাইল ইউনিয়নের মৎস্য হ্যাচারি হয়ে ধামুরা সড়কের ব্রিজ পরিদর্শন করে দেখেছি, এটার অবস্থা এত জরাজীর্ণ যে সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই আমি কোন স্টিমিট করিনি। এতে চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টা নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন শুধুমাত্র। চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে ফাইলপত্র স্বাক্ষর সহ কাজের মান নিয়ে কোন কথা হয়নি। কিন্তু একটি পক্ষ আমার অনুমতি ছাড়া ও আমার মতামত ছাড়া চেয়ারম্যান আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে রটিয়ে বেড়াচ্ছেন।