বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামে রোববার রাতে সার্থী বেগম (৩৪) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির স্বজনরা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সোমবার সকালে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আল হাদীর স্ত্রী সাথী বেগমের (৩৪) সাথে পারিবারিক কলহ চলছিল। সাথী বেগম শনিবার দিবাগত রাতে নিজের ঘরে বসে অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে পরলে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওই দিন গভির রাতে (শনিবার অসুস্থ সাথীকে অজ্ঞাত কারনে চিকিৎসক রিলিজ করে দিলে রোববার সকালে সাথীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির স্বজনেরা বাড়িতে আসেন।
রোববার সন্ধ্যার পরে সাথী বেগম শ্বশুর বাড়িতে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা সাথীকে রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুনরায় আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। চিকিৎসক বক্তিয়ার আল মামুন বলেন, সাথী বেগমকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। অতিরিক্ত মাত্রায় নেশা জাতীয় ট্যাবলেট সেবন করায় তার মৃত্যু হয়েছে। সাথী বেগমের বাবা মোঃ সোহরাব শাহ (৫০) অভিযোগ করে বলেন, আমার কন্যা সার্থীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে করেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারা বিশ খাইয়ে হত্যা করে করে চিকিৎসার নামে তালবাহানা করে এবং হাসপাতাল থেকে লাশ চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বামী শেখ মোহাম্মদ আল হাদী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দাম্পত্য কলহের জের ধরে আমার স্ত্রী সার্থী বেগম মাত্রা অতিরিক্ত ঘুমের ঔষাধ সেবন করে আত্মহত্যা করেছে।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ চুরির থবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে সাথীর লাশ ময়নাতদন্তর জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত সাথী বেগমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।