গৌরনদী
গৌরনদীতে মা ছেলেকে মারধর, কিশোরের লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামের আনিচ সিকদারের স্ত্রী ও ছেলে আমিনুল ইসলামকে শুক্রবার দুপুরে মারধর করে একই গ্রামের হালিম সিকদার (৫০) । শনিবার গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ কিশোর আমিনুল ইসলামের (১৪) লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠান । কিশোরের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করেন পরিবার ও এলাকাবাসি।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামের আনিচ সিকদারের পুত্র আমিনুল ইসলাম (১৪) শুক্রবার দুপুর পোনে একটার দিকে বাড়ির পাশে দক্ষিন চাঁদশী জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যান। এ সময় মসজিদের পাশে একই গ্রামের হালিম সিকদারের ছেলে হাসান (৮) ও বায়জীদ (৯) নামে দুই শিশু মারামারি করছিল । আমিনুল বিষয়টি দেখলেও মারামারি না ফিরিয়ে মসজিদে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মেহেদীর বাবা হালিম সিকদার। এসে ঘটনা শুনে মারামারি না ফেরানোর অভিযোগে কিশোর আমিনুল ইসলামকে খুজতে থাকে। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমিনুল ইসলামকে পেয়ে মারধর করে হালিম সিকদার। খবর পেয়ে আমিনুল ইসলামেকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে মা রুমা বেগমকেও মারধর করে হালিম। মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে হালিম সিকদার বলেন, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
আমিনুলের মা রুমা বেগম (৪৫) বেগম অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী হালিম সিকদার শুক্রবার দপুরে বিনা অজুহাতে আমার ছেলেকে মারধর করেছে। কেন ছেলেকে মারধর করেছে আমি জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকেও মারধর করেছে । সন্ধ্যায় আমি ছেলে আমিনুল ইসলামকে একা ঘরে রেখে চাদশী বাজারে গেলে রাতে বাড়িতে ফিরে ছেলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। আমি ডাক চিৎকার দিলে আশ পাশের লোকজন এসে ছেলে আমিনুলকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। আমার ছেলের মৃত্যু রহস্যজনক। আমার ধারনা একা বাড়িতে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।