গৌরনদী
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ॥ শহীদ সুকান্ত আবদুল্ল¬াহর ম্যুরাল ¯া’পন
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ ৭৫‘র ১৫ আগষ্ট শহীদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতী ও আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পুত্র সুকান্ত আবদুল্লাহর স্মরনে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে নবণির্মিত তিন তলা ভবনের সামনে ১১ ফুট উচ্চতা ও ৫ ফুট চওড়া শহীদ সুকান্তর ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। “শহীদ সুকান্ত ভবন” ও সুকান্তর ম্যুরাল স্থাপন উদ্ধোধন করেন জাতির জনকের ভাগ্নে এবং শহীদ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের জ্যেষ্ঠপুত্র, স্থানীয় সরকার পল্ল¬ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্ল¬াহ।
“পিতার কাধে সন্তানের লাশ” কত ভারী তা লাশ বহনকারী জন্মদাতা পিতাই জানেন ! তারপরেও সন্তানের মুখটা শেষ বারের মত একবার দেখা-আর তা দাফন-কাফন থকেও বঞ্চিত হতে হয় যে পিতাকে তিনি কতই না ভাগ্যাহত পিতা! এমনই এক হতভাগ্য পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল হাসানাত আবদুল্ল¬াহ। কথাগুলো বলছিলেন ম্যুরাল উদ্ধোধনী অনুষ্ঠাণের বক্তা বিশিষ্টজনেরা।
’৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ইতিহাসের নির্মমতম হত্যাকা- থেকে প্রানে বেঁচে যাওয়া আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, দেশী-বিদেশী স্বাধীনতা বিরোধী, ক্ষমতালোভী ষরযন্ত্রকারী সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। ওই দিন হত্যাকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি শহীদ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ও তার দৌহিত্র আমার জ্যেষ্ঠপুত্র সুকান্ত। কি অপরাধ ছিল ১৯৭১ সালের ২২ জুন জন্ম নেয়া চার বছরের আমার শিশুপুত্র সুকান্তর?
জাতীয় শোক দিবস ২০১৬ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শৈশবের স্কুল বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে তিন তলা একটি ভবন নির্ণান করা হয়। ভবনের নামকরন করা হয় শহীদ সুকান্ত। ভবনের সামনে ১১ ফুট উচ্চতা ও ৫ ফুট চওড়া শহীদ সুকান্তর ম্যুরালটি স্থাপন করা হয়। সোমবার বিকেলে বিদ্যালয় মিলনায়তনে পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে ম্যুারাল স্থাপন উপলক্ষে সমাবেশে বিশিষ্টজনের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক কাইয়ুম লস্কর, নির্মল ভদ্র। এছাড়া আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পুত্র মঈন আবদুল্লাহ ও আশিক আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।