গৌরনদী
গৌরনদীতে গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের \ গ্রেপ্তার-৩
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাবার বাড়িতে যাবার পথে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ খেয়াঘাটে খেয়া পারাপারের বিশ্রামাগারে এক গৃহবধুকে (২০) রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা মুলাদী উপজেলার চর নাজিরপুর গ্রামের নারী (৫২) বাদি হয়ে শনিবার রাতে অভিযুক্ত তিনজনের নামোল্লেখসহ ছয় জনকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ও র্যাব রোববার তিন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন-গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের নেছারউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জামাল হাওলাদার (৩৮), একই গ্রামের আয়নাল হাওলাদারের ছেলে রহমান হাওলাদার (৩৬), মৃত হারুন মৃধার ছেলে ও খেয়া ঘাটের মাঝি মিরাজ মৃধা (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা তিনজন। তাৎক্ষনিক পুলিশ সাহেবেরচর গ্রামের অভিযান চালিয়ে রোববার এজাহারভূক্ত আসামি রহমান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে। একই দিন রাতে (রোববার রাতে) র্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাহেবেরচর এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত জামাল হাওলাদার ও মিরাজ মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, তার মেয়ে উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের নানা বাড়ি থেকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িতে আসার উদ্ধেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হোসনাবাদ খেয়া ঘাটে পৌছে। এ সময় খেয়া ঘাটে খেয়া নৌকা না পেয়ে মেয়ে খেয়া পারাপারের বিশ্রামাগারে অপেক্ষা করছিল। খেয়ার ঘাটের খেয়া নৌকার মাঝি মিরাজ মৃধা মেয়েকে পারাপার না করে ওই ঘরে বসিয়ে রাখে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক মেয়েকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সমাজের প্রভাবশালীরা বিষয়টি মিমাংসার নামে কালক্ষেপন করায় মামলা দিতে বিলম্ব হয় বলে বাদি জানান।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে তিনজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩ জনকে আসামি করে শনিবার রাতে গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ভিকটিমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহার নামীয় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।