গৌরনদী
গৌরনদীতে সুদের টাকা আদায়ে মারধর-অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদীতে সুদের টাকা আদায়ে দেনাদারকে মারধর ও লাঞ্চিত করার অপমান সইতে না পেরে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কমলাপুর গ্রামের মৃত ইসহাক ঘরামীর ছেলে জসিম ঘরামী (২৮) নামের এক মাহেন্দ্রা চালক বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৃত মাহেন্দ্রা চালক জসিম ঘরামীর স্ত্রী অভিযোগ করেন, অসুস্থ্যতার কারনে চিকিৎসা করাতে তিন মাস পূর্বে স্বামী জসীম একই গ্রামের মৃত ছাদের হাওলাদারের স্ত্রী সাজেদা বেগমের কাছ থেকে সুদে ৬০ হাজার টাকা আনেন । বর্তমান সময়ে রাস্তায় লোকজন কম থাকায় মাহেন্দ্রা চালিয়ে খাইতেই- চলতেই কষ্ট হয়। তাই মাসিক সুদের টাকা দিতে পারছিল না। কিছুদিন যাবত পাওনাদার সুদসহ মূল টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দেন। সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি মাহেন্দ্রা নিয়ে বার্থী বাজারে গেলে পাওনাদার সাজেদা বেগম ও ভাইর ছেলে বার্থী বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শাহ আলম খান সুদের টাকার স্বামী জসিমকে আটকে গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে মারধর করে বলে টাকা না দিতে পারলে মরতে পারিস না। স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, মোর স্বামী অপমান সইতে না পাইররা সোমবার সকালে আত্মহত্যা করতে কিটনাশক পান করে। মুইসহ আত্মীয় স্বজনরা জসীমকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করি। অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার শেষ রাতে মারা যান।
অভিযোগের ব্যাপারে সাজেদা বেগমের জানতে চাইলে তিনি মারধনের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি পাওনা টাকা চেয়েছি কিন্ত মারধর ও অপমান করার কথা সত্য না। অভিযোগের ব্যাপারে তার ভাতিজা বার্থী বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শাহ আলম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জসীমকে লাঞ্চিত কিংবা মারধর করার কোন কিছুই আমি জানি না। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।