বরিশাল
গৌরনদীতে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করার মামলায় সরকারি কর্মচারী দুই সহদর কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক, বালু ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সলিল গুহ পিন্টুকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করার মামলার প্রধান দুই আসামি সরকারি কর্মচারী দুই সহদরকে বুধবার কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। হাইকোটের আগাম জামিনে থাকা দুই সহদর বুধবার নিন্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করা আসামিরা হলেন গৌরনদী উপজেলার বেজহার গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন রারির পুত্র ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢী ও তার সহদর রাশেদ রারি। তারা দুজনই সরকারি কর্মচারী। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সলিল গুহ পিন্টু বালু উত্তোলন মেশিন দিয়ে বালু তুলে ব্যবসা করে আসছিল। গত ৯ জুন মাহিলাড়া তহসিল অফিসের সামনে ড্রেজারের পাইপের লাইন বসাতে গেলে প্রতিপক্ষ মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢী তার ১০/১২ জন সহযোগীকে নিয়ে পাইপ বসাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টুকে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সলিল গুহ পিন্টুর মা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান অসামি হন গৌরনদী উপজেলার বেজহার গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন রারির পুত্র ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢী ও তার সহদর রাশেদ রারি।