গৌরনদী
গৌরনদীতে যুবদল নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা, কুপিয়ে জখম
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও পৌর যুবদলের সদস্য মোঃ জাকির হোসেননের (৪৫) উপর শনিবার সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করেছে । গুরুতরভাবে আহত জাকির হোসেনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত যুবদল নেতার স্ত্রীর অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হত্যার উদ্দেশ্য বেধড়কভাবে কুপিয়ে জাকিরকে জখম করা হয়েছে।
আহত জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি শনিবার বিকেল পোনে ৫টার দিকে বানীয়াশুরী গ্রামের মুজাহারের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলাম। এ সময় ১০/১২টি মটরসাইকেল যোগে ১৫/২০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কমান্ড ষ্টাইলে আমার উপর হামলা চালিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে বীর দর্পে চলে যায়। হামলাকারীদের দেখলে চিনি কিন্তু নাম জানি না। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ১০/১৫ জন হামলাকারী অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে এরোপাতারিভাবে কুপিয়ে জখম করে মূমূর্ষ অবস্থায় ফেলে যায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকোস নিয়ে যায় সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে সন্ধ্যায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা চলছে। আহত জাকির হোসেনের স্ত্রী সরকারি গৌরনদী কলেজ পাঠাগারের সহকারী লাইব্রেরীয়ান কহিনুর আক্তার অভিযোগ করে বলেন, শনিবার গভীররাতে জাকিরের জ্ঞান ফিরে। তার মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গভীর ক্ষত হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ নিবির পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমার স্বামীকে হত্যা করার জন্য হামলা চালানো হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলেিগর সভাপতি জোবায়েরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলার সঙ্গে ছাত্ররেিগর কোন সম্পৃক্ততা নাই। নিজ দলীয় কোন্দলে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়েছে। উদ্দেশ্যেমূলকভাবে ছাত্রলেিগর উপর দায় চাপিয়েছে। গৌরনদী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই। থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।