প্রধান সংবাদ
উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন রোধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন রোধের দাবিতে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত নদীর পাড়ে দাশেরহাট বাজারে বুধবার এলাকাবাসীর মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচী পালন শেষে সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসির অভিযোগ অব্যহত ভাঙ্গনে একের পর এক হাট বাজারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেলেও ভাঙ্গনরোধে কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। নারী-পুরুষ সহ প্রায় ৫/৬ শতাধিক মানুষ মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে উজিরপুর দাশেরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ দুলাল খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান ডা: দেলোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য হানিফ মোল্লা, শহিদুল ইসলাম, মনির হোসেন, মহিলা ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম, শাহানাজ পারভীন, বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, রাহাত চৌকদার, জাহিদ হোসেন লালন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সন্ধ্যা নদীর দীর্ঘদিন অব্যাহত ভাঙ্গনে ওই ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পানের বরজ, ফসলী জমি, বসতী বাড়ী, দাশের হাট বাজারের একাংশ সহ ৬শত একর জমি সর্ম্পূণ বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ নেননি। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ সহস্রাধিক মানুষ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে ও বেড়িবাধেঁ আশ্রয় নিয়েছে। সহায় সম্বল সবকিছু হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা মানবতার জীবন যাপন করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ডা: দেলোয়ার হোসেন বলেন, দ্রুত এই ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা না গ্রহন করলে অচিরেই উজিরপুরের মানচিত্র থেকে গুঠিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দাশেরহাট বাজার, হানুয়া, আশোয়ার, বান্না, রৈভদ্রাদী, নিত্যানন্দী, ও কমলাপুর গ্রাম বিলুপ্তি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে হানুয়া বারপাইকা গ্রাম, কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত আশোয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইকেøান সেন্টার, বড় বাড়ী জামে মসজিদ, হানুয়া মাদ্রাসা, কালীখোলা মন্দির সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কাকরাদাড়ী বেড়িবাধ প্রকল্প, দাসেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হানুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হানুয়া দাখিল মাদ্রসা, পায়রা বন্দর থেকে কোটালিপাড়া সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি টাওয়ারসহ অসংখ্য বসতবাড়ী হুমকির মুখে রয়েছে। পানি সম্পাদ মন্ত্রনালয় থেকে অতি দ্রুত ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ব্লক ফেলে ভাঙ্গণ রোধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী। এ প্রসঙ্গে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন রোধ করতে প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদন ও বরাদ্দের জন্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন ও বরাদ্দ পাওয়ার ভিত্তিতেই অতিদ্রুতম সময়ের মধ্যে ভাঙ্গনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।