গৌরনদী
গৌরনদীতে গুম হওয়া কিশোর ৯ বছর পর উদ্ধার, মিথ্যা মামলা দিয়ে ১৩টি পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রাম থেকে গুম হওয়া কিশোরকে ৯ বছর পর ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে। অপহরন. হওয়া ও ঘুমের ঘটনায় ১৩ জনকে আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। মামলা ৪ আসামি দীর্ঘ দিন জেল হাজত খেটে বর্তমানে জামিনে ও ৯ আসামি পলাতক রয়েছে। গুম হওয়া কিশোর রাসেল মৃধাকে সোমবার ঢাকা যাত্রাবাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় হয়রানী ও নিঃস্ব হওয়া পরিবারের সদস্য মিথ্যা মামলার বাদির ও তদন্তকারী কর্মকর্তার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
অপহরন ও গুম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফোরকান হোসেন জানান, গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামের মোঃ জালাল মৃধার স্ত্রী ফাহিমা বেগম (৪৫) ২০১২ সালের মে মাসে গৌরনদী মডেল থানায় তার ছেলে রাসেল মৃধাকে (২৩) অপহরন করে হত্যার পর লাশ ঘুমের একটি মামলা করে। মামলায় একই গ্রামের প্রতিবেশী এস. রহমান মৃধা (৫৫) তার ছেলে আরমান মৃধা (২৬), ছোট ছেলে রায়হান (২৩), স্থানীয় শাহীন মল্লিক (৩০), হক ভূইয়া (৭০) ও তার ছেলে মবিন ভুইয়া (২৮)সহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালে শেষের দিকে এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ভিকটিম জীবিত থাকার পরেও তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফোরকান হোসেন বলেন, মামলার তদন্তকালে ১২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। তাতে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
মিথা মামলায় জেল হাজত থেকে জামিনে আসা মোঃ রহমান মৃধা, রায়হান মৃধা অভিযোগ করে বলেন, অপহরনের পর হত্যা করে লাশ গুমের মিথ্যাা মামলায় আমরা ৪ জন দীর্ঘদিন কারা ভোগ করেছি। ৯ আসামি পালিয়ে থেকে দূর্বিসহ জীবন যাপন করেছি। পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলায় ৯ বছরে আমরা ১৩টি পরিবার সহায় সম্বল সব হারিয়েছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফোরকান হোসেন বাদির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সঠিক তদন্ত ছাড়াই আমাদের ১৩জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করায় বাদি ও মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবির চাই। গৌরনদী থানা পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়দের সহায়তা পুলিশ সোমবার ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুম হওয়া ভিকটিম রাসেল মৃধাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার গৌরনদী থানায় নিয়ে আসা হয়। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত ভিকটিমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।