Gournadi24.com
গৌরনদী ২৪ ডটকম | logo
ঢাকা, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    • প্রচ্ছদ
    • প্রধান সংবাদ
    • গৌরনদী
    • বরিশাল
    • সারাদেশ
    • খেলা
    • বিনোদন
    • সম্পাদকীয়
    • বাংলা কনভার্টার
    • ইমেজ অপ্টিমাইজেশন
    • প্রচ্ছদ
    • প্রধান সংবাদ
    • গৌরনদী
    • বরিশাল
    • সারাদেশ
    • খেলা
    • বিনোদন
    • সম্পাদকীয়
    • বাংলা কনভার্টার
    • ইমেজ অপ্টিমাইজেশন
    মেনু

    গৌরনদী

    উজিরপুরে ছেলেসহ মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা, সন্ত্রাসী হামলায় ৪টি পরিবার নিঃস্ব

    | ২১:৩০, আগস্ট ২৫ ২০২১ মিনিট

    নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন তালুকদারকে (৭২) কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার তিন পুত্র ও পুত্র বধূকে কুপিয়ে গুরুতরভাবে জখম করা হয়। বাবা মারা যাওয়ার দশ দিন পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বড় ছেলে বিপ্লব তালুকদার (৪০)। এখনো পঙ্গ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন নিহত মুক্তিযোদ্ধার দুই ছেলে ও পুত্রবধূ। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৪টি পরিবার নিঃশ্ব হয়ে গেছে। অর্থ সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবারের সদস্যরা।

    বরিশাল ব্রেজমোহন (বিএম) কলেজের অনার্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী স্বর্না আক্তার বলেন, সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে বাবা ও বড় ভাইকে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসীদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে পঙ্গুত্ব বরন করে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝ ভাই সোহাগ তালুকদার (৩৭), ছোট ভাই জুয়েল তালুকদার (৩৫) ও নিহত বড় ভাইর স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৮)। অর্থ সংকটের কারনে আহতদের সঠিকভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করতে না পারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মেঝ ভাই সোহাগ তালুকদার ও ভাবি রোজিনা বেগমকে ঢাকা থেকে বরিশাল ফেরত এনে শেবাচিমে ভর্তি করেছি। উজিরপুর ইউএনও ২০ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে তা তিনজনের চিকিৎসায় ঔষাধপত্র কিনে ২/৩ দিনেই শেষ গেছে। তিন জনের চিকিৎসা খাওয়া দাওয়াসহ প্রতিদিন ৫/৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এত টাকা কোথায় পাবো। অর্থ সংকটে চিকিৎসা ব্যহত হয়ে চিকিৎসাধীন পঙ্গ দুই ভাই ও ভাবিও এখন মৃত্যু পথযাত্রী।

    স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ত্রাসী হামলায় পিতা পুত্র নিহতসহ চারটি পরিবার নিঃশ্ব হয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার ও তিন পুত্রের আলাদা আলাদা ৪টি সংসার ছিল। প্রত্যেকেই নিজের আয় দ্বারা সংসার চালাত। মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে অসহায় হয়ে গেছে কলেজ পড়–য়া দুই কন্যা। এদিকে বড় ছেলে বিপ্লব তালুকদার (৪০) ঢাকায় প্রাইভেট কার চালিয়ে স্ত্রী ও তিন কন্যাকে নিয়ে সুখেই ছিল। সন্ত্রাসী হামলায় সব শেষ হয়ে গেছে। নিহত বিপ্লব তালুকদারের বড় মেয়ে, এসএসসি পরীক্ষার্থী কনক আক্তার (১৫) কাঁদতে কাঁদতে বলেন, বাবাকে ওরা মেরে ফেলল মাকে কুপিয়ে পঙ্গ করেছে সে হাসপাতালে মৃত্যু পথযাত্রী। বাবার আয়ে আমরা সুখেই ছিলাম কিন্তু সব শেষ হয়ে গেছে। আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী, আমার মেজ বোন জান্নাত ৮ম শ্রেনী ও ছোট বোন জিনিয়া ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ত। এখন কে আমাদের খাওয়াবে কে পড়াবে? আমরাতো পথের ভিকারী হয়ে গেলাম। একই আর্তনাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পঙ্গু সোহাগ তালুকদার ও জুয়েল তালুকদারের স্ত্রী ও সন্তানদের। সোহাগ তালুকদারের স্ত্রী বলেন, ঢাকায় সিএনজি চালিয়ে আলাদা সংসার খরচ বহন করতেন দুই ভাই সোহাগ ও জুয়েল তালুকদার। তারা এখন হয়ে পঙ্গ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে । অর্থের অভাবে না চলছে চিকিৎসা না চলছে সংসার ।

    নিহত মুক্তিযোদ্ধার শ্যালক সিরাজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমার দুলাভাই ও বড় ভাগ্নেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বাকি দুই ভাগ্নে ও ভাগ্নে বৌ কুপিয়ে পঙ্গু করেছে। তারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে অথচ প্রশাসন খুনীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যাদের গ্রেপ্তার করেছে তাদেরকে রিমান্ডে আনেননি। সন্ত্রাসী হামলায় ৪টি পরিবার শেষ হয়ে গেল। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জনাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলী আর্শেদ বলেন, ইতোমধ্যে প্রধান আসামিসহ এজাহারভূক্ত ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি সবুজ সেপাই আদালতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়া ১৮ জনের নাম প্রকাশ করেছে এবং হত্যা পরিকল্পনা ও বর্ননা দিয়ে দায় স্বীকার করেছে সেহেতু রিমান্ড প্রয়োজন হয়নি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

    এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জমাজমি নিয়ে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের (৭২) সঙ্গে একই গ্রামের নুরুল ইসলাম (৪৫), মোঃ জলিল সেপাই (৫৫)র দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। ২৯ জুলাই সকালে নুরুল ইসলাম (৪৫), মোঃ জলিল সেপাইর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদার তার পুত্র বিপ্লব তালুকদার (৪০), মেঝ পুত্র সোহাগ তালুকদার (৩৭), ছোট পুত্র জুয়েল তালুকদার (৩৫) ও বড় পুত্রবধূ রোজিনা বেগম (২৮)কে ধারাল অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি কুপিয়ে জখম করে। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বড় ছেলে বিপ্লব তালুকদার মারা যান। মেঝ ভাই সোহাগ তালুকদার (৩৭), ছোট ভাই জুয়েল তালুকদার (৩৫) ও নিহত বড় ভাইর স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৮) পঙ্গু হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৩১ জুলাই ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১২জনসহ ৪৪ জনকে আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

    Post Views: ৫৬

    Share this:

    • Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
    • Click to share on X (Opens in new window) X

    সংশ্লিষ্ট খবর

    • বরিশাল-১ আসনে পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
    • স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান
    • ‎বরিশাল-১ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  বিএনপি প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন‘র মনোনয়নপত্র জমাদান
    • গৌরনদীতে ড্রাগিস্ট সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
    • পোশাক শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসের হত্যা কারীদের বিচারের দাবীতে-গৌরনদীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
    • আধুনিক সভ্যতার প্রয়োজনীয় অঙ্গ হচ্ছে গণমাধ্যম …জহির উদ্দিন স্বপন
    • সংবাদপত্র কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে গৌরনদীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
    Top