গৌরনদী
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা, উজিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগ মানববন্ধন ও স্মরকলিপি প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলে বিপ্লব তালুকদারকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বুধবার সকালে উজিরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উজিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মরক লিপি প্রদান করা হয়।
উজিরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচীতে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও স্বজনসহ শত শত মানুষ অংশ নেন । মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রনতি বিশ্বাসের মাধ্যমে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মরকলিপি প্রদান করেন। প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন উজিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও বরিশাল ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আঃ ওয়াদুত সরদার। বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মোঃ মহিউদ্দিন মানিক (বীর প্রতীক), জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার-২ আ ন ম আব্দুল হাকিম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ও পূর্নবাসন সোসাইটির কেন্দ্রীয় মহা-সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান সরদার, উজিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ হারুন আর রশিদ, সহকারী কমান্ডার মোঃ সেকান্দার আলী, মুক্তিযোদ্ধা আয়নাল হক, মোঃ জাকারিয়া, হাবিবুর রহমান, বামরাইল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদরে কমান্ডার মোঃ হায়দার আলী শরীফ, শিকারপুর ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ইউনুস খান, মোঃ আব্দুল আউয়াল প্রমূখ। বক্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার বড় ছেলের নৃশংস হত্যাকান্ড ও পরিবারের সদস্য কুপিয়ে জখম করার ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রনতি বিশ্বাস স্মরকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার বলেন, স্মরকলিপি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে পৌছে দেয়া হবে। এ ছাড়া জাতির গর্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার সন্তাননকে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে নিহতের পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগীতা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামলাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের (৭২) সঙ্গে একই গ্রামের নুরুল ইসলাম (৪৫), মোঃ জলিল সেপাই (৫৫)র দীর্ঘদিন যাবত জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২৯ জুলাই প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম (৪৫), মোঃ জলিল সেপাইর নেতৃত্বে তার সমর্থক হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, পুত্র বিপ্লব তালুকদার (৪০), সোহাগ তালুকদার (৩৭), জুয়েল তালুকদার (৩৫) ও পুত্রবধূ রোজিনা বেগম (২৫)কে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদার মারা যান। তিন পুত্র ও পুত্রবধূ একনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত দেলোয়ার হোসেন মেঝ পুত্র জুয়েল তালুকদার বাদি হয়ে ৪২ জনকে আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।