গৌরনদী
করোনায় কাজ হারিয়ে কলার থোর বিক্রি করে সংসার চালান শহরআলী
নিজস্ব প্রতিবেদক, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় কাজ হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন চলছিল বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বেজগাতি গ্রামের শহর আলীর (৫৫)। অনাহারে থেকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে কোন সাহায্য না পেয়ে বন জঙ্গল থেকে থানথুনি পাতা, তেলা কচুয়ার পাতাসহ শাকপাতা, ডুমুর ফল (বোহই) ও কলার থোর কুড়িয়ে তা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বিক্রি করে কোন রকম সংসার চালাচ্ছেন।
স্থাণীয়রা জানান, গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়করোনায় কাজ হারিয়ে কলার থোর বিক্রি
করে সংসার চালান শহরআলী
নিজস্ব প্রতিবেদক, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় কাজ হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন চলছিল বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বেজগাতি গ্রামের শহর আলীর (৫৫)। অনাহারে থেকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে কোন সাহায্য না পেয়ে বন জঙ্গল থেকে থানথুনি পাতা, তেলা কচুয়ার পাতাসহ শাকপাতা, ডুমুর ফল (বোহই) ও কলার থোর কুড়িয়ে তা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বিক্রি করে কোন রকম সংসার চালাচ্ছেন।
স্থাণীয়রা জানান, গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বেজগাতি গ্রামের শহর আলীর (৫৫) সংসারে স্ত্রী ছেলে-মেয়ে নিয়ে ৬ জনের সংসার। ছেলে মেয়ে ছোট ছোট থাকায় উপার্জক্ষম ব্যক্তি সে একাই। রিকসা চালিয়ে মোটামুটি ভালই চলছিল তার সংসার। ৭/৮ বছর আগে হঠাৎ ঝড়ের রাতে গাছ পরে এক দূর্ঘটনায় মেরুদন্ড ও বুকের হাড় ভেঙ্গে গেলে নিজের সামান্য ভিটেমাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করান । পরবর্তিতে অর্থের অভাবে পুরোপুরি চিকিৎসা করাতে না পারায় এখনো অকেটাই অসুস্থ্য। অসুস্থ্য শরীর নিয়ে হাট বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে আসছিলেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনায় তার সেই উপার্জনের পথটিও বন্ধ হয়ে যায়। ঘরে খাবার নেই-মাথা গোজার ঠাই নেই। জীর্নশীর্ন ঘরে রোদ পুরে বৃষ্টিতে ভিজে বসবাস। স্ত্রী সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটন শহর আলী। শহর আলী বলেন, করোনার ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। কোন আয় রোজগার নেই। পোলাপান লইয়া ক্ষুধার জ্বালা সয্য করতে না পাইরররা সাহায্যের লাইগ্যা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গেছি কিন্তু কেউই বেঁচে থাকতে সাহায্য দেয় না। শেষে নিজে নিজে বাঁচার পথ বাইর করলাম। করোনার মধ্যে সরকার বাইারে যাওয়া বন্ধ করলেও জীবন বাঁচাতে বাইরে যাই। গ্রামের বন জঙ্গল থেকে ক থানথুনি পাতা, তেলা কচুয়ার পাতাসহ শাক পাতা, বহই ফল (ডুমুর ফল), কচু শাক, কচুর লতি ও কলার থোর তুলে পায়ে হাইট্রা হেইয়া মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ফেরি কইররা বেইচ্যা যা পাই হেইয়া দিয়া চাল কিইন্না খাইয়া বাইচ্যা আছি। এইসব বিক্রি করে কত পান জানতে চাইলে শহর আলী বলেন, সারা দিন ঘুরইরা বেচা কিনা কইররা ৭০/ ৮০ টাহা পাই। আবার ভাল বেচাকিনা অইলে ১শ টাহা পাই। ওই দিয়া চাউল ডাইল কিইন্না বাড়ি যাই।
স্থানীয় সামজ কর্মী গৌরনদী বøাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী সুজন বলেন, শহর আলী আমাদের প্রতিবেশী ঝড়ের রাতে দূর্ঘটনায় তার সব শেষ হয়ে যায়। চিকিৎসা করতে গিয়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে দেয়। এখন খেয়ে না খেয়ে কোন রকম বেঁচে আছে। আমরা যতটুকু পাড়ি সাহায্য সহযোগীতা করছি। এই অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য আমি সমাজের বৃত্তবান ও সমাজ সেবকদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের সামান্য সাহায্য হয়তো শহর আলীর পরিবারটা বাঁচার স্বপ্ন দেখবে। স্থানীয় বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ নুর মহাম্মদ শহর আলীর দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ইউনিযন পরিষদের সদস্য হিসেবে আমি সদ্য নির্বচিত হয়েছি, তাকে সাহায্য করার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
নের বেজগাতি গ্রামের শহর আলীর (৫৫) সংসারে স্ত্রী ছেলে-মেয়ে নিয়ে ৬ জনের সংসার। ছেলে মেয়ে ছোট ছোট থাকায় উপার্জক্ষম ব্যক্তি সে একাই। রিকসা চালিয়ে মোটামুটি ভালই চলছিল তার সংসার। ৭/৮ বছর আগে হঠাৎ ঝড়ের রাতে গাছ পরে এক দূর্ঘটনায় মেরুদন্ড ও বুকের হাড় ভেঙ্গে গেলে নিজের সামান্য ভিটেমাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করান । পরবর্তিতে অর্থের অভাবে পুরোপুরি চিকিৎসা করাতে না পারায় এখনো অকেটাই অসুস্থ্য। অসুস্থ্য শরীর নিয়ে হাট বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে আসছিলেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনায় তার সেই উপার্জনের পথটিও বন্ধ হয়ে যায়। ঘরে খাবার নেই-মাথা গোজার ঠাই নেই। জীর্নশীর্ন ঘরে রোদ পুরে বৃষ্টিতে ভিজে বসবাস। স্ত্রী সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটন শহর আলী। শহর আলী বলেন, করোনার ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। কোন আয় রোজগার নেই। পোলাপান লইয়া ক্ষুধার জ্বালা সয্য করতে না পাইরররা সাহায্যের লাইগ্যা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গেছি কিন্তু কেউই বেঁচে থাকতে সাহায্য দেয় না। শেষে নিজে নিজে বাঁচার পথ বাইর করলাম। করোনার মধ্যে সরকার বাইারে যাওয়া বন্ধ করলেও জীবন বাঁচাতে বাইরে যাই। গ্রামের বন জঙ্গল থেকে ক থানথুনি পাতা, তেলা কচুয়ার পাতাসহ শাক পাতা, বহই ফল (ডুমুর ফল), কচু শাক, কচুর লতি ও কলার থোর তুলে পায়ে হাইট্রা হেইয়া মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ফেরি কইররা বেইচ্যা যা পাই হেইয়া দিয়া চাল কিইন্না খাইয়া বাইচ্যা আছি। এইসব বিক্রি করে কত পান জানতে চাইলে শহর আলী বলেন, সারা দিন ঘুরইরা বেচা কিনা কইররা ৭০/ ৮০ টাহা পাই। আবার ভাল বেচাকিনা অইলে ১শ টাহা পাই। ওই দিয়া চাউল ডাইল কিইন্না বাড়ি যাই।
স্থানীয় সামজ কর্মী গৌরনদী বøাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী সুজন বলেন, শহর আলী আমাদের প্রতিবেশী ঝড়ের রাতে দূর্ঘটনায় তার সব শেষ হয়ে যায়। চিকিৎসা করতে গিয়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে দেয়। এখন খেয়ে না খেয়ে কোন রকম বেঁচে আছে। আমরা যতটুকু পাড়ি সাহায্য সহযোগীতা করছি। এই অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য আমি সমাজের বৃত্তবান ও সমাজ সেবকদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের সামান্য সাহায্য হয়তো শহর আলীর পরিবারটা বাঁচার স্বপ্ন দেখবে। স্থানীয় বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ নুর মহাম্মদ শহর আলীর দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ইউনিযন পরিষদের সদস্য হিসেবে আমি সদ্য নির্বচিত হয়েছি, তাকে সাহায্য করার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।