বরিশাল
আগৈলঝাড়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে একই রাতে মা ছেলের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের আগৈলঝাড়া গৈলা ইউনিয়নের সেরাল গ্রামে জ্বর ও শ্বাস কষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রতিবন্ধী মিজান মল্লিক (২৭)। ছেলের মৃত্যুর ৮ ঘন্টার ব্যবধানে একই উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজ বাড়িতে মারা যান মা সুফিয়া বেগম (৫৫)। শনিবার দুপুরে মা ছেলের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। মা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা জানান, জুলাই মাসের শেষের দিকে আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরাল গ্রামের গ্রামের দুলাল মল্লিক (৭০), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৫), বড় ছেলে রমিজ মল্লিক (৩০) ও প্রতিবন্ধী মিজান মল্লিকের মধ্যে (২৭) করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। তারা নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে দুলাল মল্লিক (৭০), বড় ছেলে রমিজ মল্লিককে (৩০) বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কোভিট টেস্টে তাদের করোনা শনাক্ত হয়। চিকিৎসা শেষে বাবা ও বড় ছেলে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেন। এদিকে বাড়িতে চিকিৎসা চলছিল দুলাল মল্লিকের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৫) ও ছোট ছেলে প্রতিবন্ধী মিজান মল্লিকের (২৭)। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবন্ধী মিজান মল্লিকের মধ্যে (২৭) প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজান মল্লিক মারা যান। একই দিন ৮ ঘন্টার ব্যবধানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন দুলাল মল্লিকের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। শনিবার বাদ যোহর সেরাল গ্রামের নিজ বাড়িতে মা ও ছেলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মা ও ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বক্তিয়ার আল মামুন বলেন, একই পরিবারের বাবা-মা ও দুই ছেলের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। বাবা-বড় ছেলের অবনতি হলে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করলে করোনা শনাক্ত হয়। বরিশাল চিকিৎসা শেষ তারা বর্তমানে সুস্থ্য রয়েছে। বাড়িতে চিকিৎসাধীন দুলাল মল্লিকের স্ত্রী ও ছোট ছেলের মধ্যে করোনা উপসর্গ থাকলেও তারা পরীক্ষা করেনি। শুক্রবার উপসর্গ নিয়ে দুলাল মল্লিকের ছোট ছেলে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্ত্রী বাড়িতে মারা যান।


