বরিশাল
উজিরপুরে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়নের গড়িয়াগাভা গ্রামে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষনের ঘটনায় বুধবার উজিরপুর মডেল থানায় নির্যাতিতার বাবা বাদি হয়ে দুইজনকে আসামি করে শিশু ও নারী নির্যাত দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। একই দিনে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল প্রেরন করা হয়েছে।
বাদি এজাহারে বলেন, উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়নের গড়িয়া গ্রামের জামাল ঘরামীর ছেলে দুই সন্তানের জনক জসিম ঘরামীর (৩৫) সঙ্গে মিস কলে মুঠোফোনের মাধ্যমে মেয়ের পরিচয় হয়। মুঠোফোনে জসমি ঘরামী নিজেকে কলেজ ছাত্র বলে পরিচয় দেন। পরবর্তিতে গত ৪ মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। গত সোমবার গভীর রাতে জসিম ঘরামী তার মেয়েকে ফোনে কল করে ডেকে নিয়ে একই গ্রামের বন্ধু ইসলাম রাড়ীর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে রাত ২টায় জোরপূর্বক ধর্ষন করে। মঙ্গলবার গ্রামের লোকজন বিষয়টি টের পেলে জসিম ঘরামী স্কুল ছাত্রীকে বন্ধু ইসলাম রাঢ়ীর বাড়িতে ফেলে সটকে পড়ে। নির্যাতিতা অভিযোগ করে বলেন, জসিম ঘরামী আমার সাথে প্রতারনা করে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রেম করেছে। ঘটনার দিন আমাকে কথা শোনার জন্য ডেনে এনে পাশ্ববর্তি গ্রামে তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে রাতভর আমাকে ধর্ষন করে সকালে আমাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরের দিন আমি স্থানীয়দের সহায়তায় সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি বাবা-মাকে জানাই। ঘটনার পর থেকে জসিম ঘরামী ও তার বন্ধু ইসলাম রাঢ়ী পলাতক রয়েছে।
জসিম ঘরামীর বন্ধু ইসলাম রাড়ীর স্ত্রী কুলসুম বেগম (২৭) জানান, জসিম ঘরামী তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি মেয়েকে নিয়ে সোমবার গভীর রাতে বাড়িতে আসে। এ সময় আমাদের রুমে তাদের থাকতে দিয়ে আমরা অন্য কক্ষে থাকি । সকালে জসিম ও ওই মেয়েটি ঘুম থেকে উঠে বাড়ি চলে যায় । রাতে কি ঘটেছিল তা আমাদেরকে জানানো হয়নি। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে জসিম ঘরামী ও তার বন্ধু ইসলাম রাঢ়ীকে আসামি করে বুধবার শিশু ও নারী নির্যাত দমন আইনে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল প্রেরন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার জোর চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।