গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় ধর্ষনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের আগৈলঝাড়ার এক নার্সিং কলেজে পড়–য়া এক ছাত্রীকে (২৭) ধর্ষণ করে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় ঘটনায় নির্যাতিতা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগৈলঝাড়া থানায় ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। শুক্রবার পুলিশ মামলার আসামি ধর্ষক রনজিত মধুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করেছে।
এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, সে ঢাকার একটি নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। দুই বছর আগে মুঠোফোনে তার সঙ্গে আগৈলঝাড়া উপজেলার দক্ষিণ বড়মগড়া গ্রামের রমেশ মধুর ছেলে রনজিত মধুর (২৭) সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের কিছু দিনের মধ্যে রনজিতের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত দুই বছরের বিভিন্ন সময় রনজিত মধু তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষন করেছে এবং তার অজান্তে ধর্ষনের ছবি তুলে এবং মুঠোফোনে ধর্ষনের ভিডিও ধারন করে রাখে। পরবর্তিতে রনজিত মধু তার সঙ্গে (ছাত্রীর) সম্পর্ক ছিন্ন করে অন্যত্র বিয়ে করে। বিয়ের পরেও রনজিত মধূ তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখার প্রস্তাব দিলে সে তা প্রত্যাখান করে। অতী সম্প্রতি রনজিত পূর্বে ধারন করে রাখা ধর্ষনের ভিডিও দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে পুনরায় ধর্ষন করে।
এদিকে ছাত্রীর একাধিক অভিভাবক জানান, কিছু দিন আগে সুমন নামে ভারতীয় এক পাত্রের সঙ্গে তাদের কন্যার বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে পাকাপাকি হওয়ার বিষয়টি জানতে পারায় “ভোরের পাখি” নামে ফেইসবুকে একটি ভুয়া আইডি খোলে বিয়ে ঠিক হওয়া পাত্র সুমনকে রিকোয়েষ্ট পাঠান বখাটে রনজিত । সুমন তার রিকোয়েষ্ট গ্রহন না করায় রনজিত মধু সুমনের ম্যাসেঞ্জারে ছাত্রীর সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ ছবি ও ধর্ষনের ভিডিও সুমনকে পাঠান। এতে মেয়েটির বিয়ে বাতিল হয়ে যায়।
আগৈলঝাড়া থানার পুরদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় ঘটনায় নির্যাতিতা ছাত্রী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রনজিত মধুকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। শুক্রবার পুলিশ দক্ষিণ বড়মগড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এজাহারভূক্ত আসামি রনজিত মধুকে গ্রেপ্তার করে ওই দিন আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।