গৌরনদী
বিয়ে বাড়িতে অভিযান, কনের বাবার জড়িমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষ করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বড় কসবা গ্রামে ধুমধাম করে দেড় শতাধিক অতিথির জন্য বিয়ের আয়োজন করায় মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালান ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। অভিযানের খবর পেয়ে পথিমধ্যে থেকে থেকে ফিরে যান বরযাত্রীর স্বজনরা। পরে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে বরসহ ৫জন এসে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নববধূকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার গৌরনদী উপজেলার বড় কসবা গ্রামের এক ব্যবসায়ীর মেয়ের বিবাহের দিন ধার্য্য হয়। বিয়ে বাড়িতে গেট-সাজসজ্জা ও প্যান্ডেলসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। বরযাত্রী ও কনের আত্মীয় স্বজনদের জন্য দেড় শতাধিক মেহমানের জন্য ডেকরেটরের বাবুর্চি দ্বারা রান্নাবান্না সম্পন্ন করা হয়। স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে বড় আকারে বিয়ের আয়োজন করায় স্থানীয়রা দুপুর আড়াইটায় গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)র কাছে অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে দুপুর তিনটায় গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস একদল পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালান এবং অভিযোগের সত্যতা পান।
এদিকে গৌরনদীর পাশ্বববর্তি আগৈলঝাড়া থেকে বরযাত্রী আসার পথিমধ্যে কনের বাড়িতে অভিযানের খবর পেয়ে বরযাত্রীরা ফিরে যান। পরবর্তিতে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে বরের ৬জন অভিভাবক এসে নববধূকে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে জাকজমকভাবে বিয়ের আয়োজন করায় কনের বাবাকে ১ হাজার ৫শত টাকা জড়িমানা আদায় করা হয়। প্রশাসনের লোকজন চলে যাওয়ার পরে জনসমাগম করে মেহমানের আপ্যায়ন করবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। কনের একাধিক স্বজন জানান, বিয়ের আপ্যায়ন বন্ধ করে দেয়ার পরে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ব্যাপক আকারে অনুষ্ঠান বন্ধ করে সীমিত আকারে বিয়ে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মহামারী নিয়ন্ত্রনে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে কঠোর পদেক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। মহামারীকে মোকাবেলা করে মানুষকে ভাল রাখতে-ভাল থাকতে স্বাস্থ্য বিধি মানতে গনসচেতনতায় সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।