গৌরনদী
গৌরনদীতে নির্বাচনী সহিংসতা \ শাহ আলম খান হত্যার ঘটনায় ৩৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা, গ্রেপ্তার-৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনত্তর সহিংসতায় তিন দিনে তিন জন নিহত হন। সর্বশেষ বুধবার দিবাগত রাতে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী মন্টু হাওলাদারের ভায়রা ভাই শাহ আলম খান (৫৪)। এ ঘটনায় শুক্রবার নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০ জনকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দাযের করেছে। পুলিশ শুক্রবার এজাহারভূক্ত আসামি হারুন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে। অপরদিকে নির্বাচনের দিন নিহত আবু বকর ফকির হত্যা মামলায় সন্দেভাজন তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন জানান, বুধবার দিবাগত রাতে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহ আলম খান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদি হয়ে জাকির মৃধা (৩৫), এনায়েত মৃধা (৫৫), জামান মৃধা (৪৫), ইলিয়াস মৃধা (৩৩), সালাম মৃধা (৫৬), সালাম সরদার (৫৪), হাদিস সরদার (২০), কামাল সরদার (৪২) ও সোবাহান মৃধাসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০ জনকে আসামি করে শুক্রবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ কমলাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি হারুন সরদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া নির্বাচনের দিন সহিংসতায় নিহত আবু বকর ফকির হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন রাজ্জাক সরদার, বাবুল সরদার ও হালিম সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ গৌরনদী নির্বাচনী সহিংসতায় তিন দিনে তিনজন নিহত হয়। এতে ১শত ৯০ জনকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।