গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় কিশোরী অপহরন নির্যাতনের মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের রতœপুর গ্রামের এক অনাথ কিশোরীকে (১৫) অপহরন করে তিন মাস আটকে ধর্ষন ও নির্যাতন করার মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ পিরোজপুরের নাজিরপুর থানা পুলিশের সহাতায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতরে মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় করাগারে পাঠিয়েছে। আসামি সহিদ শেখ আদালতে কিশোরীকে অপহরন করে নির্যাতনের কথা স্বীকার জবানবন্দি দিয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রতœপুর গ্রামের কিশোরীর (১৫) মা মারা যাওয়ার পর ছোট বোনকে নিয়ে কিশোরী দাদা দাদির কাছে থাকত। বছর দুয়েক আগে দাদা-দাদী মারা যাওয়ার পর বাবা দুই মেয়েকে বাড়ির পাশে তার এক ফুফু সম্পর্কের এক আত্মীয়র বাড়িতে রেখে যান। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা বসবাস শুরু করে। ওই বাড়িতে থাকার সুবাদে তাদের আত্মীয় সহিদ শেখের (৪০) সঙ্গে কিশোরীর পরিচয় হয়। উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের রতœপুর গ্রামের ওই অনাথ কিশোরীকে (১৫) ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় রতœপুর বাজারের দক্ষিন পাশ থেকে তার পূর্ব পরিচিত পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার মাটিভাঙ্গা গ্রামের সহিদ শেখ (৪০) তার ৪/৫ জন সহযোগীকে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরন করে নিয়ে যায়। নির্যাতিতা অভিযোগ করেন বলেন, আমাকে অপহরন করে নিয়ে পিরোজপুরের নাজিরপুরের কোন এক বাড়িতে আটকে রাখে। পরের দিন ১৭ মার্চ থেকে লম্পট সহিদ শেখ জোরপূর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করে । আমি এতে বাধা দিলে আমাকে শারীরিকভাবে মারধর করে বাড়িতে আটকে তিন মাস ধরে ধর্ষন নির্যাতন করেছে। গত ১৮ জুন সুযোগ বুঝে কৌশলে সেখান থেকে আমি পালিয়ে এসে বিষয়টি আগৈলঝাড়া থানাকে অবহিত করেছি।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, ১৮জুন কিশোরী পালিয়ে এসে ১৯ জুন আগৈলঝাড়া থানায় হাজির হয়ে নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে নিজেই বাদি হয়ে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার মাটিভাঙ্গা গ্রামের সহিদ শেখ, একই গ্রামের রেজাউল ফরাজী, আকলিমা বেগমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার মাটিভাঙ্গা গ্রামে গত মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে নাজিরপুর পুলিশের সহায়তায় মামলার প্রধান আসামী মাটিভাঙ্গা গ্রামের মৃত মোস্তফা শেখের ছেলে সহিদ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি সহিদ শেখ কিশোরীকে অপহরন ও জোরপূর্বক নির্যাতনের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।