বরিশাল
ঈদে পয়সারহাট সেতুতে বিনোদনমুখি মানুষের উপচে পড়া ভীড়
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার মানুষের বিনোদনের জন্য কোন পার্ক কিংবা দর্শনীয় স্থান না থাকায় ওই এলাকার মানুষ অনেকটাই বিনোদন বঞ্চিত। তাই এবারে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সেতু পয়সার সেতুতে বিনোদনমুখি দর্মনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। ঈদ উপলক্ষে গত ৩ দিনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সন্দ্যা নদীর পয়সারহাট সেতুর প্রাকৃতিক সৌন্দার্য উপভোগ করতে জড় হন।
বিনোদন প্রিয় দর্শনার্থী, স্থানীয় লোকজন জানান, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রায় ৬ লাখ লোকের বিনোদনের জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। তারা অনেকটাই বিনোদন বঞ্চিত। সন্ধ্যা নদীর তীঁরে দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ পয়সারহাট সেতুই এ এলাকার মানুষের একমাত্র বিনোদনের জন্য দর্শনীয় স্থান। দেশের প্রতিটি ঈদ ও পূজাসহ জাতীয় উৎসবগুলোতে মানুষ এখানে এসে সন্ধ্যা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দার্য অবলোকনসহ পয়সারহাট সেতু দর্শন করেন। উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে এখানে মেলা বসে। প্রিয় জনকে নিয়ে ঘুরতে আসেন অনেকেই। অনেকেই ঈদ পুনর্মিলনী কেন্দ্র বা সেতু বন্ধন হিসেবে দেখেন পয়সারহাট সেতুকে।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে পয়সারহাট সেতুর দুই পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, এক কিলোমিটর জায়গা জুড়ে বসেছে শিশুদের বিভিন্ন খেলনা সামগ্রীর শতাধিক দোকান পাট। এখানে রয়েছে হালিম, ফুচকা, চটপটির অসংখ্য দোকানপাট। প্রেমিক-প্রেমিকা, নতুন দম্পত্তি ও যুব-যুবতিদের পছন্দের প্রসাধনী সামগ্রীর বাজার। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের রাধাচক্কর। আগতরা জানান, বিকেল ৩টা থেকে এখানে নারী, পুরুষ, বৃদ্ধা, শিশুসহ নানান বয়সী বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ আসতে শুরু করে । মধ্যরাত পর্যন্ত চলে ঘোরাফিরা কেনাকাটা, খাওয়া দাওয়াসহ আনন্দ উৎসব। গৌরনদী, আগৈলঝাড়া উপজেলা ও পশ্চিম সীমান্তবর্তি আর কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্বপ্রান্তের মানুষের ঢল নামে এখানে। আবির ও নুসরাত নামে এক নবদম্পত্তি জানান, গৌরনদী -আগৈলঝাড়া মানুষের বিনোদনের কোন স্থান নেই। তাই তাদের কাছে সন্ধ্যা নদীর সৌন্দার্য ও পয়সারহাট সেতুই মনোরম পরিবেশই একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র। প্রতি ঈদে তারা পৃথকভাবে এখানে ঘুরতে আসতেন। তবে এবোর তারা নতুন দম্পত্তি হিসেবে এসেছে যে কারনে তাদের কাছে রোমাঞ্চটা প্রতি বছরেে চেয়ে একটু বেশী। তানভীর, সজল ও জুবায়ের নামে কয়েকজন কিশোর বলেন, আমরা কোথায় কোন সৌন্দার্য দেখতে যেতে পারি না, কোন পার্ক নেই। তাই ঈদের এখানে ঘুরতে আসি। খাওয়া দাওয়া ঘোরাফিরা ভালই লাগে। কয়েকজন বাবা মা বলেন, সন্তানদের জন্য এ দুই উপজেলায় কোন বিনোদনের জন্য কিছুই নেই। তাই ঈদ উৎসবে সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। ছোট ছোট শিশুরা আনন্দে মেতে উঠেছে, ভালই লাগছে। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, ঈদকে ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের আনন্দ উপভোগকে নিরপদ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ নজরদাড়ি জোড়দার করা হয়েছে।