প্রধান সংবাদ
আগৈলঝাড়ায় জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে বদলীর আদেশ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে বদলীর অভিযোগে জেলা প্রশাসক, প্রাথমিক শিক্ষার উপ- পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার ও বারপাইক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক সাত জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত রোববার সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বরিশাল সহকারী জজ আদালতে বিচার প্রার্থনা করে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
মামলার অপর অভিযুক্তরা হলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক, প্রাথমিক শিক্ষার উপ- পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার ও বারপাইক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক মুক্তা রানী সরকার।
মামলার বাদি উপজেলার বাকাল হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাকাল গ্রামের কে.এম শামসুর রহমানের ছেলে মো. মিজানুর রহমান মামলার আর্জিতে অভিযোগে বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ আগষ্ট ১৪১৬ স্মারকে জেলা শিক্ষা অফিসারের অফিস আদেশে আগৈলঝাড়া সদর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার জন শিক্ষকের বদলী জনিত শুন্য পদ সৃষ্টি হয়। ওই শুন্য পদের বিপরীতে বাদি বর্তমান কর্মস্থল থেকে সদর মডেল স্কুলে বদলীর আবেদন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বদলী নির্দেশিকায় ৩ দশমিক ১ অনুচ্ছেদে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাদি মিজানুর রহমান ২০০৭ সালের ১জুলাই চাকুরীতে যোগদান করে জেষ্ঠ্যতা অর্জণ করলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার মন্ত্রনালয়ের জেষ্ঠ্যতার নির্দেশনা অমান্য করে ২০০৯ সালের ৭মে চাকুরীতে যোগদান করা বারপাইক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা রানী সরকারকে সদর মডেল বিদ্যালয়ে পদায়নের শুপারিশ করে জেলায় প্রেরণ করেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার শুপারিশের ভিত্তিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন। এতে বাদি ক্ষতিগ্রস্থ এবং সুবিচার থেকে বঞ্চিত হন। যে কারনে বাদি আদালতের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন। গত রোববার প্রতিকার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন ।
আগৈলঝাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার জ্যেষ্ঠতা লংঘনের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, বদলীর বিশেষ বিধানে শর্ত অনুযায়ি শ্রেষ্ঠ শিক্ষিক এবং ক্যাসমেইট সুবিধার কারনে মুক্তাকে সদর মডেল স্কুলে বদলীর শুপারিশ করা হয়েছে। নতুন কর্মস্থলে ওই শিক্ষকা যোগদানও করেছেন। মামলার বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চলছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, মামলা দায়েরের বিষয়টি শুনেছি। উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমাকে বিবাদী করা হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা বিভাগের। এখানে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিবাাদ করার সুযোগ নেই।