বরিশাল
গৌরনদীতে যৌতুক দিতে না পেরে শ্বশুরের আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মেয়ে জামাতার দাবিকৃত যৌতুকের দাবি মেটাতে ব্যার্থ হয়ে কীটনাশক পানে গফুর সরদার (৬০) নামের এক বৃদ্ধ শ্বশুর আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরিবারের অভিযোগ জামাতা তাওহীদ তাকে মানুষিক অত্যাচার করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কমলাপুর গ্রামের জামাল সরদার (৫০) অভিযোগে জানান, বড় ভাই গফুর সরদারের কন্যা তামান্না বেগমের (১৮) নিজ মতে ৩মাস পূর্বে প্রতিবেশী মোক্তার হাওলাদারের পুত্র তাওহীদ হাওলাদারের (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয়। পরবর্তীতে মেয়ে জামাতা তাওহীদ হাওলাদার বড় ভাই গফুরের কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে । ভাই গফুর সরদার যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় গত ২৪ এপ্রিল বুধবার সকালে মেয়ে জামাতা তাওহীদ তাদের বাড়িতে এসে ভাই গফুরকে লাঞ্ছিত করে। ওই দিন তার বড় ভাই গফুর জামাতার হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন। এতে জামাতা তাওহীদ হাওলাদার আরো ক্ষিপ্ত হন। বৃহস্পতিবার সকালে জামাতা তাওহীদ হাওলাদার পুনরায় তাদের বাড়িতে এসে ভাই গফুর সরদারের কাছে যৌতুক হিসেবে নতুন একটি ইজি-বাইক কিনে দিতে বলে। গফুর সরদার পুনরায় তা দিতে অস্বীকার করলে জামাতা শ্বশুরকে গালাগালসহ শারীরিক লাঞ্চিত করেন। যৌতুক দিতে না পারার ব্যর্থতায় অভিমান করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গফুর সরদার পরিবারের সদস্যদের অজান্তে কীটনাশক পান করে । গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাংক্ষনিকভাবে স্বজনরা গফুরকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে গফুর সরদার (৬০) মারা যান।
মেয়ে তামান্না বেগম অভিযোগ করেন, ওরা মানুষিক অত্যাচার করে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে জামাতা তাওহীদ হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার পর থেকে তাওহীত মুঠোফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।