গৌরনদী
গৌরনদীতে সাধারন ক্ষমার সুযোগ নিয়ে ফের মাদক ব্যবসা, অবশেষে গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া ব্যবসায়ীদের পূর্নবাসনে সার্বিক সহযোগীতা প্রদানের সুযোগ দিয়ে ২০১৬ সালে সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করে আত্ম সমর্পনের আহবান বরিশাল পুলিশ প্রশাসন। এ সময বরিশালের গৌরনদীতে ৩৩ জন মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিলে গৌরনদী থানা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল দিয়ে তাদের বরন করে নেন। তাদেরই একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বেপারী(৪৫)কে অবশেষ গত শুক্রবার রাতে ৪শত পিস ইয়াবাসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, গৌরনদী পৌর সদরের শীর্ষ স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী দক্ষিন পালরদী মহল্লার মৃত অহেদ আলী বেপারীর জৈষ্ঠ্য পুত্র নুরুল ইসলাম(৫২)। গত পনের বছর ধরে নুরুল ইসলাম স্ত্রী পুত্রসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। ২০০১৬ সালে মাদক ব্যবসার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে তার পুত্র রাসেল বেপারী খুন হন। তার কয়েক দিন পরে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হন নুরল ইসলামের আরেক পুত্র হিরা বেপারী। তার পরিবারের সদস্যদের সকলের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. মাজাহারুল ইসলাম জানান, গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ২০১৬ সালে সাধারন ক্ষমা ঘোষনার আওতায় পুলিশের কাছে আত্ম সমর্পন করেন। এ সময় তৎকালীন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ফুল দিয়ে বরন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সহায়তা দেন। নুরুল ইসলাম মসজিদের ইমামের কাছে গিয়ে তওবা পরে এক জিল্লায় তাবলীগে চলে যান। গত প্রায় এক বছর যাবত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নুরুল ইসলাম পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন। মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অবস্থানের ঘোষনার মধ্যেও সুচতুর নুরুল ইসলাম মাদক ব্যবসা চালিয়ে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে একদল পুলিশ নুরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪শত পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তর করেছে। নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে । এ ছাড়া আগৈলঝাড়া ও কালকিনি থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মুনিরুল ইসলাম মুনির বলেন, পারিবারিকভাবে নুরুল ইসলাম জাত মাদক ব্যবসায়ী । সমূহ বিপদের আশঙ্কা দেখে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছিল কিন্তু সে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেয়নি। পুলিশের কাছে খবর ছিল সে ইয়াবার বড় বড় চালান এনে বিভিন্ন স্থানে সরবারহ করছে। পুলিশ তার পিছু নিলে সত্যতা বেড়িয়ে অসে। ঘটনার দিনে যশোর বেনাপোল থেকে ৪শ পিস ইয়াবার চালান নিয়ে ঘরে ঢুকতেই পুলিশ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। আত্মসমর্পনকারী অন্যন্যদের পুলিশের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।