বরিশাল
উজিরপুরে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অস্ত্রপচারে চিকিৎসকের তরুনীর মৃত্যুর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের উজিরপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আগৈলঝাড়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের হেলাল মীরের কন্যা সুমাইয়া আক্তারের (১৮) অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রপচার করতে গিয়ে চিকিৎসকের হাতে এক তরুনীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওযা গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১ টায় উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম সাতলা মায়ের দোয়া ক্লিনিক এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের হেলাল মীরের কন্যা সুমাইয়া আক্তারের (১৮) পেটের ডান পাশে ব্যথা হলে বড় ভাই রবিউল মীর শনিবার সন্ধ্যায় ছোট বোন সুমাইয়াকে নিয়ে উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম সাতলা মায়ের দোয়া ক্লিনিক এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যান। ক্লিনিকের ডা. সাধন বসু কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রবিউলকে জানান তার ছোট বোনের এপেনডিসাইটিস হয়েছে এবং জরুরী অপারেশন না করলে রোগী প্রানহানির সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসক রোগীকে তার অধীনে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। এ সময় সুমাইয়ার ভাই রবিউল রোগীকে অপারেশনের জন্য ভর্তি করেন।
রোগীর বড় ভাই রবিউল মীর অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসক আমার বোনকে শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে অস্ত্রপচার কক্ষ ঢুকান। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক ওটি থেকে বের হয়ে আসেন এবং বলেন রোগীর অবস্থা ভাল না। সেখানে (ওটিতে) আমাদের কাউকে ঢুকতে দেননি। রাত ১টার দিকে ক্লিনিকের পরিচালক আমাকে ডেকে জানান সুমাইয়া মারা গেছে। তখন আমরা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোজাখুজি করলে চিকিৎসক ক্লিনিক ছেড়ে আত্মগোপনে যান। আমার বোনকে চিকিৎসার নামে হত্যা করা হয়েছে, আমি এর বিচার চাই।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চিকিৎসক ডা. সাধন বসুকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তিতে ক্লিনিক পরিচালক ডা. রেজাউল করিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভিতরে কি ঘটেছিল কেনই বা রোগী মারা গেল আমি কিছুই জানি না। উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান বলেণ, তরুনী নিহতের ঘটনার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুনীর লাশ উদ্ধার করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি একনো অবহিত নই। খোজ নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।