গৌরনদী
গৌরনদীতে বোমা হামলার মামলায় বিএনপির ২৭ নেতাকর্মী কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক, একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের প্রাক্কালে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ এলাকায় বোমা হামলা চালিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আহত করে পাকা রাস্তা কেটে বিচ্ছিন্ন ও সন্ত্রাস ও নাশকতা অভিযোগে সরিকল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মেজবা উদ্দিন আকনের দায়ের করা মামলায় গতকাল সোমবার গৌরনদী উপজেলার ২৭ বিএনপি নেতাকর্মীর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে গৌরনদী হোসনাবাদ সড়কের ষ্টিমারঘাট চকিদার বাড়ি এলাকায় রাস্তা কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা। যাওয়ার সময় ৫/৭টি বোমার বিস্ফোরন ঘটিয়ে বিএনপি ও ধানের শীষের পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এ ঘটনায় পরের দিন ৩ নভেম্বর সরিকল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুুিক্তযোদ্ধা মো. মেজবা উদ্দিন আকন বাদি হয়ে ৫০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২শতাধিক আসামি করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অসামিরা পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদি মেজবা উদ্দিন আকন উল্লেখ করেন, ২ নভেম্বর রাত ১১টায় বাড়ি ফেরার পথে হোসনাবাদ গ্রামের স্টিমারঘাট চকিদার বাড়ির কাছে পৌছলে মটরসাইকেলের লাইটের আলোতে দেখি বিএনপি জামাতের নেতাকর্মিরা রাস্ত কেটে বিচ্ছিন্ন করে ক্ষতি সাধন করছে । এ সময় আমরা প্রতিবাদ করলে বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ৭/৮টি বোমা হামলা ও গুলি করে আমাদের আহত করেছে। আমরা প্রান রক্ষায় পিছু হটে থানায় খবর দেই। পুলিশ পৌছলে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সরিকল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর মৃধা, সাধারন সম্পাদক আবুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিল্পব, প্রচার সম্পাদক মো. মজনু খান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সুজন বেপারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক ও স্কুল শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী আকন, ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আনিচ হাওলাদার, ৪নং ওয়ার্ড সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদার, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. জামাল হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক মো. মাকসুদ মৃধা, সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের চাচাতো ভাই সদস্য পান্নু সরদারসহ ২৭ আসামি বরিশাল স্পেশাল ট্রাইবুনাল নম্বর-১ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক (বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক) মোঃ রফিকুল ইসলাম জামিনা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন মিলনসহ ৫ আসামি আগেই জামিনে রয়েছে।