গৌরনদী
আগৈলঝাড়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে দুই শিশুকে নির্যাতন, বাধা দেয়ায় মাকে লাঞ্চিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামে চুরির অপবাদ দুই শিশুকে নিয়াতন করে গাছের সাথে বেধে রাখে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা। শিশু দুটি সপ্তম ও ৪র্থ শ্রেনির ছাত্র। এক শিশুর মা পুত্রকে নির্যাতনে বাধা দিতে গেলে ইউপি সদস্য তাকে লাঞ্চিত করেছে।
স্থানীয় লোকজন, শিশুর অভিভাবক ও পুলিশ জানান, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ছোট বাশাইল গ্রামের খোকন বেপারীর পুত্র ও বাশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনির ছাত্র সাগর বেপারী (১১) ও একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর সিকদারের পুত্র ও বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনির ছাত্র তুষার সিকদার(১৩)কে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে রাজিহার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত সদস্য মো. বরকাতুল্লাহ (৩৫) গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসাইল কালু শাহ মাজারের উত্তর পাশে এক সালিস বৈঠকের আয়োজন করেন। সালিস বৈঠকের উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্েযর সহযোগী মনীষ চকিদার(৩২) ও নাসির চকিদার (২৮)। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান, সালিস বৈঠকে ইউপি সদস্য রায় ঘোষনা করে নিজেই শিশু দুটিকে মারধর করে একপর্যায়ে লাঠিপেটা করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
শিশু শিক্ষার্থী সাগরের মা রওশন আরা(৩৫) অভিযোগ করেন, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে ভাজনা গ্রামে ২৮ দিন আগে জনৈক ব্যাক্তির কবুতর চুরি হয়। শুক্রবার বিকেলে ইউপি সদস্য বরকত তার বাড়িতে গিয়ে জানান, তারপুত্র কবুতর চুরি কতরেছে সন্ধ্যায় বিচার হবে সেখানে পুত্রকে নিয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। ইউপি সদস্য স্বাক্ষাী ও কোন প্রমানপত্র ছাড়াই বিচারের নামে অন্যায়ভাবে তার পুত্রসহ দুটি শিশুকে নির্যাতন করে এবং এক পর্যায়ে নারিকেল গাছের সঙোগ বেধে নির্যাতন করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, তিনি পুত্র রক্ষায় এগিয়ে গেলে ইউপি সদস্য তাকেও লাঞ্চিত করে। তুষারের বাবা মোহাম্মদ সিকদার অভিযোগ করেন, তার পুত্র কবুতর চুরির কিছুই জানানে না। এমন কি কার কবুতর চুরি হয়েছে তারও কোন নাম ঠিকানা নেই অথচ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তার পুত্রকে নির্যাতন করেন। তিনি এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। গ্রামবাসী জানান, নির্যাতন করে তিন ঘণ্টা পর শিশুদের তাদের পরিবারে কাছে ফেরত দেয়া হয়। দুই শিশুকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতির্ করা হয়েছে।
অভিযোগের ব্যপারে নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. বরকাতুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন নির্যাতন করি নাই, এলাকার শিশুরাই তাদের মারধর করেছে। এ প্রসঙ্গে রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস তালুকদার বলেন, আমি বিষয়টি ওসির কাছ থেকে শুনেছি।