গৌরনদী
গৌরনদীতে ছেলে ধরা সন্দেহে ভিক্ষুককে মারধর চোখ উৎপাটনের চেষ্টায় মামলা, গ্রেপ্তার-১
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম/ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ভূরঘাটা গ্রামে গত বুধবার শিমু পাচারকারী সন্দেহে এক ভিক্ষুককে পিটিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে এক পর্যায়ে একটি উৎপাটনের চেষ্টা চালায়। স্থানীয়রা মূমূর্ষ অবস্থায় আহত ভিক্সুককে উদ্দঅর করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দাযের করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানান, মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভার দক্ষিণ রাজদি মহল্লার হতদরিদ্র আব্দুল হাকিম তালুকদারের স্ত্রী আমিরুন নেছা গত বুধবার সকালে ভিক্ষা করতে গৌরনদী উপজেল্রা ভূরঘাটা গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ভিক্ষা নিয়ে পোনে ১০টা দিকে একই গ্রামের প্রতিবেশী ইউপি সদস্য কামাল ফকিরের বাড়িতে যান। এসময় আবুল কাশেম সরদারের শিশু কন্যা তাজমিম (২) ভক্ষুকের পিছনে পিছনে যান। এদিকে শিশু তাজমিমকে বাড়িতে না পেয়ে খোজাখুজি করে কামালের বাড়িতে গিয়ে ভিক্ষুকের পিছনে দেকতে পান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভিক্ষুক আমিরুন নেছাকে শিশু পাচারকারী সন্দেহে তাজমিমের বাবা আবুল কাসেম সরদার ও মা ঝুমুর বেগমসহ স্বজনরা বেদমভাবে মারধর করে এক পর্যায়ে ভিক্ষুকের ডান চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করে। ভিক্ষুক আমিরুন নেছা গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবনতি ঘটলে বিকলে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক রনবি দাস জানান, আমিরুন নেছার শারীরিক কিছুটা উন্নতি হলেও ডান চোখটি স্বাভাবিক থাকবে কিনা বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আহত ভিক্ষুকের স্বামী আব্দুল হাকিম তালুকদার বাদি হয়ে আবুল কাশেম সরদার স্ত্রী ঝুমুর বেগমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামি আাবুল হাসেম সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে।